বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম.
"সূচনা পর্ব "
মুহতারাম সুধীমন্ডলী ও ধর্মপ্রাণ শ্রোতাদর্শক! আজকের সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ব 'যাকাত' -এর বিষয়কে কেন্দ্র করে।পবিত্র মাহে রমযানের মাত্র কয়দিন পূর্বেই এই বিষয়বস্তুর ওপর সেমিনারটির ব্যবস্তাপনা এজন্যই করা হচ্ছে, যেহেতু ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সাধারণত, রমযানের এই পবিত্র মাসেই যাকাতের অর্থ বের করে এর প্রাপক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তা বিতরণ করে থাকেন। তাই সেমিনারটি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাকাতের গুরুত্ব, ফযীলত এবং জরুরী আহকামগুলো এই সেমিনার থেকে আমাদের দৃষ্টির সামনে নিয়ে আসা। আর সেই অনুযায়ী আমল করার পথ খুঁজে নেয়া।
"যাকাত না দেয়ার ভয়াবহতা "
ভূমিকায় আমি দুটো আয়াত তিলাওয়াত করছি। উল্লিখিত আয়াত দু্টোতে যারা নিজেদের সম্পদের পরিপূর্ণ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ যাকাত আদায় থেকে বিরত থাকে মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তাআলা তাদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। জাহান্নামে তাদের ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনের আয়াতে ঘোষনা করেছেন,যেসব ব্যক্তি নিজের কাছে স্বর্ণ রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাহে ব্যয় করে না,(হে রাসূল!) আপনি তাদেরকে ভয়াবহ শাস্তির সংবাদ জানিয়ে দিন।অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের টাকাকড়ি, নিজের স্বর্ণ-রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় খরচ করা থেকে বিরত থাকে, তাদেরকে আপনি এ সুসংবাদ জানিয়ে দিন যে,তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।অতঃপর দ্বিতীয় আয়াতে শাস্তির ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, এই ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন ওইদিন হতে হবে, যেদিন এই স্বর্ণ-রৌপ্য আগুনে উত্তপ্ত করা হবে। অতঃপর সেই ব্যক্তির কপাল, পার্শ্বদেশ এবং পৃষ্ঠের উপর দাগ লাগানো হবে।সেই সঙ্গে তার উদ্দেশ্যে বলা হবে।
هذا ما کترتم لأننفسکم فذوقواماکنتم تکترون
এই হল সেই ভান্ডার!যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখে ছিলে।সুতরাং আজ তোমরা তোমাদের ভান্ডারের আস্বাদ গ্রগন কর।[সূরা তওবা আয়াত -৩৪-৩৫]
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ত্রিশ বৎসর আগে আপনার সম্পদের একটা হিসাব করবেন, অনুমান করে করে এভাবে যাকাত দিয়ে আসবেন।