আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
947 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম ,
আমার জ্ঞান অত্যন্ত ক্ষুদ্র  হওয়ায় আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আকারে ব্যাপারগুলো দেখেও বুঝতে পারি নাই।
তাই আপনার কাছে নিজের বুঝ অনু্যায়ী লিখে জানাচ্ছি, আমার ভুল থাকলে সংশোধন  করে দিবেন সেই আশায়।

১) তালাকের  মজলিসে তালাকের  নিয়ত ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে
* তোমাকে ছেড়ে  দিলাম,তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তোমাকে স্বাধীন  করে দিলাম,তোমাকে আযাদ করে দিলাম,তুমি আমার জন্য হারাম,তুমি তোমার  ইদ্দত গণনা করো....
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

কিন্তুু  তালাকের মজলিস ছাড়া  অন্যান্য সময় কিংবা অন্য কোন বিষয়ে ঝগড়ার  সময় উপরের  বাক্যগুলো বললে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে কিন্তুু তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।

আমার বুঝাটা কি ঠিক আছে,ভুল হলে সংশোধন  করে দিবেন।

২)তালাকের  মজলিসে কেউ যদি স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, তালাকের নিয়ত ছাড়া নিম্নোক্ত  বাক্য ব্যবহার করেঃ
* আমি তোমাকে দূর করে দিছি,তোমার সাথে  আমার কোন সম্পর্ক নাই,তোমার নিকট আমার কোন কাজ নাই,তুমি আমার নিকট হইতে পৃথক হয়ে যাও,তোমাকে পৃথক করে দিলাম,আমার ঘর হইতে চলে যাও,বাহির হও,যাও দূর হও,বাপ-মায়ের মাথায় গিয়ে চড়ো,নিজের বাড়ি  যাও,তোমার সাথে  আমার বনিবনা হবে না।

তাহলে তালাক হবে না,কিন্তুু  তালাকের নিয়তে যদি বলে তাহলে তালাক  হবে।

আমার বুঝাটা কি ঠিক আছে,ভুল হলে সংশোধন  করে দিবেন।


৩) ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী  যদি বলে তোমার সাথে আমি আর পারতেছি না,তোমার কাছে এসে আমার জীবন শেষ,আমি দেখে তোমার সাথে ঘর করতেছি,আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাবো।

তখন যদি স্বামী  সম্পূর্ণ তালাকের নিয়ত ছাড়া  স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে বলেঃ "যাও দূর হও,তোমার  সাথে, আমার বনিবনা  হবে না,তোমার সাথে আমার সম্পর্ক  শেষ,তোমাকে পৃথক করে দিলাম।

এটা কি তালাকের মজলিস???
স্বামী - স্ত্রী  কেউই তালাক শব্দ উচ্চারণ  করে নাই এবং কেউই তালাকের নিয়তে এইসব বলে নাই।
এতে কি বিয়েতে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ- 

(১)


وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)



তালাকের  মজলিসে তালাকের  নিয়ত ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে

* তোমাকে ছেড়ে  দিলাম,তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তোমাকে স্বাধীন  করে দিলাম,তোমাকে আযাদ করে দিলাম,তুমি আমার জন্য হারাম,তুমি তোমার  ইদ্দত গণনা করো....

তাহলে তালাক হয়ে যাবে।


কিন্তু  তালাকের মজলিস ছাড়া  অন্যান্য সময় কিংবা অন্য কোন বিষয়ে ঝগড়ার  সময় উপরের  বাক্যগুলো বললে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে কিন্তুু তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।


জ্বী,আপনার বুঝ ঠিক আছে।


(২)

তালাকের  মজলিসে কেউ যদি স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, তালাকের নিয়ত ছাড়া নিম্নোক্ত  বাক্য ব্যবহার করেঃ

* আমি তোমাকে দূর করে দিছি,তোমার সাথে  আমার কোন সম্পর্ক নাই,তোমার নিকট আমার কোন কাজ নাই,তুমি আমার নিকট হইতে পৃথক হয়ে যাও,তোমাকে পৃথক করে দিলাম,আমার ঘর হইতে চলে যাও,বাহির হও,যাও দূর হও,বাপ-মায়ের মাথায় গিয়ে চড়ো,নিজের বাড়ি  যাও,তোমার সাথে  আমার বনিবনা হবে না।


উক্ত শব্দ সমূহের মধ্যে যে সব শব্দ তালাকের আবেদনের জবাব বুঝাবে,ঐ গুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে আর যেগুলো তালাকের আবেদনের রদ বুঝাবে,সে গুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

এখানের প্রায় সব শব্দ দ্বারাই তালাক পতিত হবে।এক্ষেত্রে নিয়তের কোনো প্রয়োজন নাই।


(৩)


জ্বী, এটা তালাকের মজলিস।সুতরাং এখানে নিয়তের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কেননা এখানে মূলত স্ত্রী তার স্বামীর কাছে তালাক চাচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (23 points)
edited by
জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...