বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
তালাকের মজলিসে তালাকের নিয়ত ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে
* তোমাকে ছেড়ে দিলাম,তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,তোমাকে স্বাধীন করে দিলাম,তোমাকে আযাদ করে দিলাম,তুমি আমার জন্য হারাম,তুমি তোমার ইদ্দত গণনা করো....
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
কিন্তু তালাকের মজলিস ছাড়া অন্যান্য সময় কিংবা অন্য কোন বিষয়ে ঝগড়ার সময় উপরের বাক্যগুলো বললে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে কিন্তুু তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।
জ্বী,আপনার বুঝ ঠিক আছে।
(২)
তালাকের মজলিসে কেউ যদি স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, তালাকের নিয়ত ছাড়া নিম্নোক্ত বাক্য ব্যবহার করেঃ
* আমি তোমাকে দূর করে দিছি,তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই,তোমার নিকট আমার কোন কাজ নাই,তুমি আমার নিকট হইতে পৃথক হয়ে যাও,তোমাকে পৃথক করে দিলাম,আমার ঘর হইতে চলে যাও,বাহির হও,যাও দূর হও,বাপ-মায়ের মাথায় গিয়ে চড়ো,নিজের বাড়ি যাও,তোমার সাথে আমার বনিবনা হবে না।
উক্ত শব্দ সমূহের মধ্যে যে সব শব্দ তালাকের আবেদনের জবাব বুঝাবে,ঐ গুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে আর যেগুলো তালাকের আবেদনের রদ বুঝাবে,সে গুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এখানের প্রায় সব শব্দ দ্বারাই তালাক পতিত হবে।এক্ষেত্রে নিয়তের কোনো প্রয়োজন নাই।
(৩)
জ্বী, এটা তালাকের মজলিস।সুতরাং এখানে নিয়তের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কেননা এখানে মূলত স্ত্রী তার স্বামীর কাছে তালাক চাচ্ছে।