বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)যদি তাতে ব্যহিক কোনো নাজাসত দৃষ্টিগোচর না হয়,তাহলে এই কাপড় নাপাক হবে না।
(২)যেহেতু পা ধুয়ে টয়লেট থেকে বের হয়েছেন,তাই মেঝেতে পা লাগলে ও মেঝে নাপাক হবে না।
(৩)জ্বী,নাপাক।
(৪)ড্রামে মশা মাছি মরা পাওয়া গেলে,ড্রামের পানি নাপাক হবে না।
(৬)ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।কেননা হাদীস শরীফে এসেছে.....
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,
ﻻ ﻳﺒﻮﻟﻦ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﻣﺴﺘﺤﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻓﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ ﻓﻴﻪ ﻓﺈﻥ ﻋﺎﻣﺔ ﺍﻟﻮﺳﻮﺍﺱ ﻣﻨﻪ
তোমরা কেউ বাথরুমে প্রস্রাব করিও না,কেননা কিছুক্ষণ পর সে তথায় ওজু/গোসল করবে,এবং প্রস্রাব করার ধরুণ নাপাকির ওয়াসওয়াসা সেখান থেকেই তার অন্তরে সৃষ্টি হবে।(আবু-দাউদ;২৭)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না। এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1015
(৭)নাকের সর্দি নাপাক নয়।