আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,566 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমি আজকে নামাজ পরার সময় আমার গলায় কফ জমা হয়ে গেলে আমি নামাজ শেষ করে কোন কিছু চিন্তা না করে জায়নামাজের  সামনে একটা চেয়ার থাকার কারনে ওটার নিচে থুথুটা ফেলে দেই...ফেলে দেওয়ার পর আমার খেয়াল হয় হায় আল্লাহ এটা আমি কি করলাম,আমি ত পশ্চিম দিকে থুথু ফেলে দিলাম.....ব্যাপারটা এতটাই হুট করে হয়ে গেছে যে হওয়ার পর আমার আফসোস ও ভয়  হচ্ছে যে আল্লাহ মনে হয় আমার উপর রাগ হয়ে গেছেন,এরপর আমার আরো দু রাকাত নামাজ পড়ার কথা থাকলেও ভয়ে আমি আর নামাজ পরতে পারিনি

সত্যি বলছি আমি কোন রকম অসম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য (নাউজুবিল্লাহ)  নিয়ে এ কাজ করিনি,,এমনটা করার কথা আমি চিন্তা করতে পারি না

এতে কি কোন সমস্যা হবে?

২ঃ-বাসার বেসিক পশ্চিম দিকে করা,পশ্চিম দিকে মুখ করে নিচের দিকে কুলির পানি বা থুথু ফেলা যাবে কি?

৩ঃ-আজকে একটা হাদিস পড়ার সময় হাদিসটা এরকম ছিল যে ""কোন একজন লুংগি কাবা ঘরের সামনে কাদে নিলে সে বেহুশ হয়ে যায়"" এটা পড়ে আমার হালকা হাসি পেলে আমি একটু মুচকি হেসে ফেলি,কিন্তু এতে কোন অবিশ্বাস বা ব্যংগ করার নিয়ত ছিল না,শুধু হাদিসটার ধরন দেখে হাসি আসছিল

এতে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
থুতু পশ্চিম দিকে,কেবলার দিকে ফেলবেন না।

বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".

কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।

সহীহ : বুখারী ৪০৫, 
[বুখারি ৪০৫, ২৪১, ৪১২, ৪১৩, ৪১৭, ৫৩১, ৫৩২, ৮২২, ১২১৪, মুসলিম ৪৯৩, নাসায়ি ৩০৮, ৭২৮, আবু দাউদ ৪৬০, ইবন মাজাহ ৭৬২, ২০২৪, আহমদ ১১৬৫১, ১২৩৯৮, ১২৫৪৭, ১২৫৭৯, ১২৬৫৩, ১২৮০৪, ১৩৪২৪, ১৩৪৭৭, ১৩৫৩৬, ১৩৬৮৫, দারেমি ৪১৩৯৬
সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।]

صحيحي ابن خزيمة و ابن حبان من حديث حذيفة مرفوعًا 
من تفل تجاه القبلة جاء يوم القيامة وتفله بين عينيه". 

ইবনু খুযায়মাহ্ ও ইবনু হিব্বান (রহঃ) মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা রয়েছে। 
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলল, সে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন তার দু' চোখের মাঝে ঐ থুথু নিয়ে উপস্থিত হবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
পশ্চিম দিকে থুথু ফেলা যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয় তাহলে তাহা জায়েয।ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ।

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
বাসার বেসিন যেহেতু পশ্চিম দিকে করা,পশ্চিম দিকে মুখ করে নিচের দিকে কুলির পানি বা থুথু ফেললেও অনেকটা পশ্চিম দিক হয়েই এগুলো করতে হয়,তাই অসম্মান উদ্দেশ্য না নিলেও তাহা মাকরুহ হবে।
তাই এক্ষেত্রে বেসিনের অন্য সাইট থেকে কুলি করা যেতে পারে।
,
(০৩)
না এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...