আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
632 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
অসম্মান প্রদর্শন এর উদ্দেশ্য নয়, যদি পশ্চিমে থুথু ফেলে সেটা কি গুনাহ হবে? আমাদের জানালা গুলো সব পশ্চিমে, মাঝে  মাঝে ময়লা ফেলা হয় এদিক দিয়ে বা থুতু, মাঝে মাঝে তাড়াহুরো তে প্রয়োজন পরে যায়। সেক্ষেএে গুনাহ হলে কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তবে যেহেতু সম্মান বা অসম্মান প্রদর্শন - একটা লুকায়িত বিষয়টা।সুতরাং কেউ অসম্মান প্রদর্শনের নিয়্যাত ব্যতীত ও যদি পশ্চিম দিকে পা লম্বা করে,অন্যজন অসম্মান মনে করে নিবে,এ জন্য যে,আমাদের সমাজে তা অসম্মান ই ভাবা হয়, তাই ফুকাহায়ে কিরামগণ স্বাভাবিকত তা মাকরুহ বলে থাকেন।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
 الفتاوى الهندية- ويكره مد الرجلين إلى الكعبة في النوم وغيره عمدا (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخامس في آداب المسجد والقبلة والمصحف-5/319
কাবার দিকে ইচ্ছেকৃত পা লম্বা করা মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। {৫/৩১৯,}আরো বর্ণিত রয়েছে.....আল মুহিতুল বুরহানী-৮/১০, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৯/১৭৪}

ফুকাহায়ে কেরামদের ভাষ্যমতে স্বাভাবিক অবস্থায় পশ্চিম দিকে পা রাখা মাকরুহ।নিম্নোক্ত হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে-ইমাম যারকানী মুওয়াত্তা মালিকের ব্যখ্যা গ্রন্থে সহীহ ইবনে খুযাইমা ও সহীহ ইবনে হাব্বানের বরাতে নিম্নোক্ত হাদীসে মারফু উল্লেখ করেন-
" ﻣﻦ ﺗﻔﻞ ﺗﺠﺎﻩ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﺟﺎﺀ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﺗﻔﻠﻪ ﺑﻴﻦ ﻋﻴﻨﻴﻪ " 
যে ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করবে,কিয়ামতের দিন তাকে এমনভাবে উত্তোলন করা হবে যে,তার থুথু তার দু চক্ষুর মাঝখানে থাকবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/470

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অসম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য পশ্চিম দিকে পা রাখা, থুথু নিক্ষেপ করা বা ভিন্ন কিছু নিক্ষেপ করা কুফুরী। অপারগ অবস্থায় রাখা জায়েয।অনিচ্ছাকৃত হলে জায়েয। ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ। কেননা আমাদের সমাজে অসম্মানই গণ্য করা হয়। আল্লাহ-ই ভালো জানেন। যদি অনিচ্ছায় এমনটা করে নেয়া হয়, তাহলে কোনো গোনাহ হবে না। তবে সর্বদা এত্থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...