আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
Assalamulaikum

Ekjon osustho bekti osustho thakar jonno roja thakte pare na...

1. Ekhon tar jonnoi kaffara dite hobe naki kaja korte hobe. Jhetu roja rekhe venge fele ni sehutu ki kaffara ashbe?

2. Jhetu uni osustho, uni kaja o rakhte parben na, tar kaja koja onno keu korle ki hobe?

3. Ar jehtu onek din dhore osustho thakar jonno roja rakhte pare na ebong tar kono hishabh nei sehutu koto gulo kaja rakhben?

4. Kaffara ki sudhu roja venge fele dite hoi naki kono osustho thakar karone roja rakhte na parleo kaffara deoya jai?

-----

JazakAllah Khair

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1411 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নানা শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে  শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১) কোনো মানুষ সাময়িক অসুস্থতার কারণে রোযা রাখতে অপারগ হলে সে একটি রোযার পরিবর্তে একটি ফিদয়া আদায় করবে। 
(২) একজনের রোযাকে অন্যজন কাযা করতে পারবে না। হয়তো উনি কাযা করবেন, নতুবা ফিদয়া আদায় করবেন। 
(৩) একটা ধারণা করে যত গুলো রোযা কাযা হয়েছে, সবগুলোর কাযা আদায় করবেন। মন যে সংখ্যার দিকে সায় দিবে, সেই সংখ্যার দিকে উনি অগ্রসর হবেন। 
(৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2187 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 164 views
...