শবে কদর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রজনী।
এ রাতে ইবাদত হাজার মাস ইবাদত থেকেও উত্তম।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾
লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
(সুরা কদর ০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَاناً وَاحْتِسَاباً غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি শবেকদরে (ভাগ্য-রজনী অথবা মহীয়সী রজনীতে) ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় কিয়াম করে (নামায পড়ে), তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।”
সহীহুল বুখারী ৩৫, ৩৭, ৩৮, ১৯০১, ২০০৮, ২০০৯, ২০১৪, মুসলিম ৭৬০, তিরমিযী ৬৮৩, নাসায়ী ২১৯৮ থেকে ২২০৭, ৫০২৭, আবূ দাউদ ৩১৭১, ১৩৭২, আহমাদ ৭১৩০, ৭২৩৮, ৭৭২৯, ৭৮২১, ৮৭৭৫, ৯১৮২, ৯৭৬৭, ৯৯৩১, ১০১৫৯, ১০৪৬২, ২৭৫৮৩, ২৭৬৭৫, দারেমী ১৭৭৬
,
হাদীসে এসেছে, রামাদান আগমনকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমাদের নিকট রামাদান আসন্ন। মুবারক মাস। আল্লাহ্ এর সাওম ফরয করেছেন। এতে জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয়ে থাকে এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানগুলোকে বেঁধে রাখা হয়। এতে এমন এক রাত রয়েছে যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাত্রির কল্যান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সে তো যাবতীয় কল্যান থেকে বঞ্চিত হলো।” [নাসায়ী: ৪/১২৯, মুসনাদে আহমাদ: ২/২৩০, ৪২৫]
ক্বদরের রাতে যদি কেউ ইবাদতের নিয়তে দ্বীনি যে কোনো ইলম চর্চা করে তাহলে তা নফল ইবাদত বলে গণ্য হবে।
কেহ যদি ইবাদতের নিয়তে কুরআনের তরজমা, তাফসীর বা সীরাহ ইত্যাদি গবেষণা করে,তাহলেও নফল ইবাদত বলে গন্য হবে।