জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সবসময় সর্বাবস্থায় জিকির করা সম্পর্কেও কুরআনুল কারিমের নির্দেশনা রয়েছে। যার ইচ্ছা সে বসে, শুয়ে, কাত হয়ে কিংবা নামাজ ও নামাজের বাইরে জিকির করা যাবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾
অতঃপর যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করবে তখন দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ (যিকির) করবে(, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যথাযথ সালাত কায়েম করবে; নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
(সুরা নিসা ১০৩)
الَّذِیۡنَ یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰہَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِہِمۡ وَ یَتَفَکَّرُوۡنَ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ ہٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبۡحٰنَکَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿۱۹۱﴾
যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি(১), আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।
(সুরা আল ইমরান ১৯১)
কুরআনুল কারিমের এসব আয়াত থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, যারা হাঁটা-হাঁটি করা অবস্থায় জিকির করে, অসুস্থ হয়ে যারা বিছানায় শোয়া অবস্থায় জিকির করে কিংবা নামাজে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর জিকির করে, সবার জন্যই আল্লাহর জিকির বৈধ ও সাওয়াবের কাজ।
এমনকি কেউ যদি অপবিত্র হয় তার জন্য নামাজ, কুরআন স্পর্শ ইত্যাদি নিষিদ্ধ হলেও জিকির করায় কোনো সমস্যা বা দোষ নেই। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সবসময় ও সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর জিকিরে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। তবে অপবিত্র অবস্থায় জিকির করা থেকে পবিত্র অবস্থায় জিকির করা উত্তম।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, এক হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, বান্দা যতক্ষণ আমাকে স্মরণ করতে থাকে এবং আমার যিকিরের কারণে তার ঠোঁট নড়তে থাকে, ততক্ষণ আমি তার সাথে থাকি। (অর্থাৎ আল্লাহর রহমত তার সাথে থাকে)।-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১০৯৬৮; ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩৭৯২
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাতবাসীরা দুনিয়ার কোনো জিনিসের জন্য আফসোস করবে না, শুধু ঐসময়ের জন্য আফসোস করবে, যা দুনিয়াতে আল্লাহর যিকির ছাড়া অতিবাহিত করেছে।-শুআবুল ঈমান, হাদীস : ৫১২; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস : ১৬৭৪৬
,
(০২)
ইবাদতের অবস্থায় নিয়মিত থাকার জন্য এসময় করনীয় হলো অযু অবস্থায় থাকা।
মনের মধ্যে নিজেকে নিয়ে নাক ছিটকানো,অপবিত্র ইত্যাদি অবস্থা বের করে দিয়ে মহান আল্লাহর যিকির আযকারে লিপ থাকা।
,
(০৩)
হ্যাঁ আম পাড়াতে যে দুটি সেজদার আয়াত আছে,সেটু তিলাওয়াত করলে তারাও সেজদাহ দিবে।
এটি তাদের উপর ওয়াজিব।
যদি সেজদাহ আদায় না করে,তাহলে গুনাহগার হবে।
,
তাই আগে কোনো সেজদাহ আদায় না করে থাকলে সেটিও আদায় করা দরকার।
,
(০৪)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে,
যদি এটি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতের মধ্যে কোনো রাকাতে হয়,বা সুন্নাত নফলের কোনো রাকাতে এমন হয়,তাহলে শেষে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
,
অন্যথায় সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
(০৫)
হ্যাঁ এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৬)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ
(০৭)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৮)
হ্যাঁ এভাবে পড়া যাবে।
এ পদ্ধতি ভুল নয়।
(০৯)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(১০)
আপনি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন,তাহলে আপনার উপর ছদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
নতুবা নয়।
,
আপনি যদি নাবালেগ হোন,সেক্ষেত্রে আপনার পিতার উপর ছদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হলে আপনার পিতাকেই আপনার ফিতরাহ আদায় করতে হবে।
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব, জানুনঃ