বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাফিরের মৃত্যুতে মানবিক শোকাহত হওয়াত বৈধ আছে।মানবিক সাধারণ রহম করমের অযোগ্য কোনো কাফির হবে না।যেমন যদি কারো পিতা-মাতা বা ভাই-বোন কাফির অবস্থায় মারা যায়,অথবা কোনো ভালো কাজ সম্পাদনকারী সমাজ সেবক কাফির মারা যায়, তাহলে তাদের মৃত্যুতে শোকাহত হওয়া বৈধ রয়েছে।তবে শর্ত হলো ঐ সমস্ত কাফির মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে পারবে না।সুতরাং এটা হলো মানবিক মহব্বত ও রহম করমের বহিঃপ্রকাশ যার কারণে কাউকে তিরস্কার করা যাবে না।এটা যেন এমন যে আপনার চক্ষুর সামনে কোনো দুর্ঘটনায় কোনো কাফির মারা যাচ্ছে বা আগুনে জ্বলে কোনো কাফির মারা যাচ্ছে, সুতরাং এমতাবস্থায় ঐ কাফিরের দিকে মায়ার উদ্রেক হওয়াটা স্বাভাবিক।
হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " زَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَ أُمِّهِ ، فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ ، فَقَالَ : ( اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي أَنْ أَسْتَغْفِرَ لَهَا فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي ، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأُذِنَ لِي ، فَزُورُوا الْقُبُورَ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الْمَوْتَ )
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ উনার মায়ের কবর যিয়ারতে গেলেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ ক্রন্দন করতে শুরু করে দিলেন।এবং আশপাশের সবাইকে কাদিয়ে দিলেন।অতঃপর তিনি বললেন,আমি আমার রবের নিকট আমার মায়ের জন্য ইস্তেগফার করার অনুমতি চাইছিলাম,কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি।অতঃপর কবর যিয়ারতের অনুমতি চাইলাম,হ্যা আমাকে কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হল।সুতরাং তোমরা কবর যিয়ারত করো।কেননা কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্বরণ করিয়ে দেয়।(সহীহ মুসলিম-৯৭৬)
অন্য বর্ণানায় এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ মাতা-পিতাকে কবরের ভিতর জীবিত করা হয়েছে,এবং জীবিত হয়ে পৃথিবীর অবস্থা দেখে তারা নিজ ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।বা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমনের পূর্বে শিরিক না করে থাকলে যে কেউ আখেরাতে নাজাত পাবে।সুতরাং অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত হলো, রাসূলুল্লাহ সাঃ মাতা-পিতা জান্নাতি।এবং এ বিষয়ে অালোচনা না বাড়ানোই শ্রেয়।এবং উক্ত হাদীস ইসলামের প্রাথমিক যুগের হাদীস।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ উনার চাচা আবু তালিব এর কাফির অবস্থায় মৃত্যুতে শোকাহত ছিলেন,কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ উনার ইসলাম গ্রহণের আশান্বিত ছিলেন।এমনকি রাসূলুল্লাহ উনার চাচার জন্য দু'আ করারও ইচ্ছা পোষন করেছিলেন।কিন্তু উনাকে সে অনুমতি দেয়া হয়নি।
তবে সাবধান, এমন শোকাহত হওয়া যাবে না,যা ইসলামের বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।এবং কাফিরদের সম্মানকে বাড়িয়ে দেয় বা ইসলাম ও মুসলমানের সার্বভৌমত্বের উপর আগাত করে, এমন প্রকারের শোকাহত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।সুতরাং জনসম্মুখে তাদের শোক প্রকাশ না করাই উচিৎ।
দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়া এক্ষেত্রে লক্ষণীয়, ফাতাওয়া নম্বর,
فتوی(م): 278=278-3/1431
اسلم صورت یہ ہے کہ کچھ نہ پڑھے، خاموشی اختیار کرے اور اپنی آخرت کو یاد کرے، غیرمسلم کی تعزیت ان الفاظ میں کی جاسکتی ہے کہ ?اللہ تمھیں اس سے بہتر عطا فرمائے اور تمھیں خیر کی توفیق دے? ?جاء یہودي أو مجوسي مات ابن لہ أو قریب ینبغي أن یعزیہ ویقول: أخلفک اللہ علیک خیرًا منہ وأصلحک وکان معناہ أصلحکم اللہ بالإسلام یعنی رزقک الإسلام ورزقک ولدًا مسلمًا․ کفایة (شامي)
বিন্নুরী মাদরাসার ফাতাওয়া বিভাগের একটি ফাতাওয়া এক্ষেত্রে লক্ষণীয়,
অমুসলিমের মৃত্যুতে ইন্না লিল্লাহ বলা যাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে,
فتوی نمبر : 144105200286
1- ان کلمات میں اللہ تعالی کی یکتائی اور آخرت کی یاد ہے، کسی بھی انسان کی موت اس عقیدے کی یاد دہانی کا ذریعہ بن سکتی ہے، خواہ مسلم ہو یا غیر مسلم۔
2- ہر موت زندہ انسان کو اپنی موت کی یاد دہانی کراتی ہے، اس حیثیت سے ان کلمات سے یاد دہانی میں غیر مسلم یا مسلم کی موت برابر ہے۔
3- یہ کلمات کسی بھی ناگہانی آفت پر پڑھے جاتے ہیں، اس مٰیں اعتقاد کا پہلو ملحوظ نہیں ہوتا۔
لہٰذا اس کی گنجائش ہے، البتہ اگر کوئی کسی کافر کو مسلمان سمجھ کر پڑھے گا تو اس میں کفر کا ندیشہ ہے۔ (میت کے مسائل کا انسائیکلو پیڈیا۔172-2) فقط واللہ اعلم