ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
হযরত আ'তা রাহ বলেন, عن عطاء قال:دخلت مع علي بن الحسين على جابر بن عبد اللّٰه رضي اللّٰه عنهما :فحضرت الصلوة فأذن و أقام -
আমি আলী ইবনে হুসাইন রাহ এর সাথে হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি এর দরবারে প্রবেশ করলাম।তখন নামাযের সময় হয়ে গেলে,তিনি আযান ইক্বামত দিয়ে নামায আদায় করলেন।(মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২২৮৪)
হযরত আলী রাযি বলেন,
عن علي قال ايما رجل خرج إلى أرض في ،فحضرت الصلوة ......فان شاء اذن و أقام وان شاء أقام إقامة واحدة و صلي
যদি কোনো ব্যক্তি নির্জন মরুভূমির দিকে যাত্রা করে, এবং পথিমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়,তাহলে সে চাইলে আযান-ইক্বামত দিয়ে নামায পড়তে পারবে,আর চাইলে সে শুধুমাত্র ইকামত দিয়েও নামায পড়তে পারবে।(মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২২৮৪)
واما المنفرد فالافضل له ان يأتي بهما ليكون أدائه على هيئة الجماعة
মুনফারিদ(একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি)এর জন্য আযান ইক্বামত দিয়ে নামায পড়া উত্তম।যাতে করে তার নামাযটা জামাতের সূরতে হয়ে যায়।(হালবি কাবিরি-৩৭২,বাদায়ে সানায়ে-১/৩৭৭,মাবসুত,১/১৩৩)
وندب الأذان والإقامة للمسافر والمقيم في بيته
মুসাফির এবং ঘরে নামায আদায়কারী মুক্বিমের জন্য আযান-ইক্বামত মুস্তাহাব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৩)
ولا يكره تركهما للمقيم
ঘরে নামায আদায়কারী মুক্বিমের জন্য আযান-ইকামত তরক করা মাকরুহ নয়।(হালবি কাবিরি-৩৭২)
وكره تركهما للمسافر لا لمصل في بيته في المصر و ندبا لهما
মুসাফিরের জন্য আযান-ইক্বামত উভয়টিকে তরক করা মাকরুহ।তবে ঘরে একাকী নামায আদায়কারী মুক্বিম ব্যক্তির জন্য মাকরুহ হবে না।যদিও মুক্বিম মুসাফির উভয় প্রকার ব্যক্তিদের জন্য আযান-ইক্বামত দেওয়া মুস্তাহাব/উত্তম।(কানযুদ্দাক্বাইক্ব-১/২৬৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুনফারিদ(একাকি ঘরে নামায আদায়কারী) ব্যক্তির জন্য আযান-ইক্বামত দিয়ে নামায পড়া উত্তম।কিন্তু যদি মহল্লায় একবার আযান-ইক্বামত হয়ে যায়,তাহলে পরবর্তীতে কোনো মুক্বিমর ব্যক্তি আযান-ইক্বামত ব্যতীত নামায পড়লে সে নামায মাকরুহ হবে না।কেননা মহল্লায় একবার আযান হয়ে গেলে আযানের সুন্নত আদায় হয়ে যায়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/২৯৮)
(২) আল্লাম হাসক্বাফী হানাফি রাহ লিখেন,
(ويخافت) المنفرد (حتما) أي وجوبا (إن قضى) الجهرية في وقت المخافتة، كأن صلى العشاء بعد طلوع الشمس، كذا ذكره المصنف بعد عد الواجبات.
মুনফারিদ যদি জাহরি নামাযকে সির্রি সময়ে কাযা করে তাহলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে নিম্নস্বরে পড়বে।যেমন কেউ এশার নামাযকে সূর্যোদয়ের পর কা'যা করল,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হলো যে,সে এশার নামাযকে নিম্নস্বরে আদায় করবে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-শামেলা-১/৫৩২)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة
(قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে।