ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এ্যড দেখে ইনকাম হারাম হবে না। তবে শর্ত হল, ঐ এডে কোনো হারাম থাকতে পারবে না। ছবি বা নারীদৃশ্য কিংবা উলঙ্গপনা থাকতে পারবে না। তাছাড়া রেফার বোনাস কিন্তু জায়েয না। কেননা এখানে কোনো প্রকার কষ্ট ছাড়াই টাকা আসছে। তাই এটা জায়েয হবে না।
এম. এল. এম কম্পানি সমূহে শরীয়তের বেশ কিছু নিষিদ্ধ বিষয়াবলী পাওয়া যাওয়ার ধরুন উলামায়ে কেরামগণ উক্ত ব্যবসা কে নাজায়েয বলে থাকেন।
নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ যেমনঃ -
(১)এক চুক্তির মধ্যে অন্য চুক্তির শর্ত করা।
(صفقتان في صفقة)
(২)চুক্তিকে শর্তের সাথে ঝুলন্ত রাখা।
(التعليق بالشرط)
(৩)ধোঁকা ও অনিশ্চয়তা
(غرر)
(৪)বিনিময়হীন শ্রম
(العمل بلا أجرة)
(৫) শ্রমহীন বিনিময়
الأجرة بلا عمل
(৬)সুদ ( الربا)
এসবই শরীয়তে নিষিদ্ধ। এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫) আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/12947তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/340
শুধুমাত্র নিজে নিজে রেফার খুললেও এই বোনাস জায়েয হবে না।