জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১২,১৩,১৪,১৫ তম দিন গুলো তে স্রাব থাকা অবস্থাতেও আপনি যে নামাজ রোজা আদায় করেছেন।
এটি ছহীহ।
.
এখন ১৬ তম দিনেও স্রাব আসলে সেটি যদি ৩ দিন বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে তো হায়েজ ধরা হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবেনা।
পরবর্তীতে রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
,
আর যদি ৩ দিনের কম আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
তাই এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
,
(০২)
এক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে আপনি ১৬ তম দিনে এসে মনে করলেন যে এই স্রাব পূর্ণ ৩ দিন আসবেনা,সেটা ধরে নিয়ে আপনি নামাজ রোযা আদায় করে নিলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো যে সেটি পূর্ণ ৩ আসলো,বা ৩ দিন অতিক্রম করলো, তাহলে উক্ত দিন গুলো হায়েজ হিসেবে গন্য হবে।
রোযা গুলোর পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে।
নাপাক অবস্থায় এ নামাজ আল্লাহ মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ।
,
আবার যদি এমন হয় যে আপনি ১৬ তম দিনে এসে মনে করলেন যে এই স্রাব পূর্ণ ৩ দিন বা তার চেয়েও বেশি দিন আসবে,সেটা ধরে নিয়ে আপনি নামাজ রোযা আদায় করলেননা,
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো যে সেটি ৩ দিন আসলোনা, তাহলে উক্ত দিন গুলো ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা হিসেবে গন্য হবে।
নামাজ রোযা গুলির কাজা কাজা আদায় করতে হবে।