আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
943 views
in পবিত্রতা (Purity) by (63 points)
হায়েজ বন্ধ হওয়ার ১২ দিন পর আবার ব্লাড দেখা যায় অল্প।এভাবে ১৫ তম দিন পার হয়ে যায়।তার পরও কমে নাই।আমার জানা মতে দুইটা হায়েজ এর মধ্যবর্তী সর্ব  নিম্ন টাইম ১৫ দিন।তাই ১২,১৩,১৪,১৫ তম দিন গুলো তে হায়েজ থাকা অবস্থাতেও আমি নামাজ রোজা পড়েছি।

এখন প্রশ্ন হলো আমি বুঝতে পারছি যে ১৬ তম দিনেও হায়েজ দেখা যাবে,,  এখন প্রশ্ন হলো ১৬ তম দিন গুলো থেকে কি রোযা নামাজ পড়বো না?? নিয়মটা জানতে চাচ্ছি, কি করবো এখন?

২) যদি ১৬ তম দিন থেকে ২-৩ দিন হায়েজ থাকে তাহলে কি আবার কাযা করতে হবে রোযা গুলো?

(কারন, হানাফী মাজহাব মতে তো হায়েজ এর সর্ব নিম্ন সময় সীমা তিন দিন!!)

উত্তর গুলো দিলে খুব উপকার হতো উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
১২,১৩,১৪,১৫ তম দিন গুলো তে স্রাব থাকা অবস্থাতেও আপনি যে নামাজ রোজা আদায় করেছেন।
এটি ছহীহ।   
  
.
এখন ১৬ তম দিনেও স্রাব আসলে সেটি যদি ৩ দিন বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে তো হায়েজ ধরা হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবেনা।
পরবর্তীতে রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
,
আর যদি ৩ দিনের কম আসে,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা। 
তাই এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 
(০২)
এক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে আপনি ১৬ তম দিনে এসে মনে করলেন যে এই স্রাব পূর্ণ ৩ দিন আসবেনা,সেটা ধরে নিয়ে আপনি নামাজ রোযা আদায় করে নিলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো যে সেটি পূর্ণ ৩ আসলো,বা ৩ দিন অতিক্রম করলো, তাহলে উক্ত দিন গুলো হায়েজ হিসেবে গন্য হবে।
রোযা গুলোর পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে।
নাপাক অবস্থায় এ নামাজ আল্লাহ মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ। 
,
আবার যদি এমন হয় যে আপনি ১৬ তম দিনে এসে মনে করলেন যে এই স্রাব পূর্ণ ৩ দিন বা তার চেয়েও বেশি দিন আসবে,সেটা ধরে নিয়ে আপনি নামাজ রোযা আদায় করলেননা,
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো যে সেটি ৩ দিন আসলোনা, তাহলে উক্ত দিন গুলো ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা  হিসেবে গন্য হবে।
নামাজ রোযা গুলির কাজা কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 315 views
...