আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (23 points)
উমরাহ করলে কি হজ্জ ওয়াজিব হয়ে যায়,যদি পরবর্তীতে তার নিকট টাকা না থাকে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য দু'টি জিনিষ অত্যাবশ্যকীয়। (১)মক্কা মুকার্রামাহ এবং হজ্বের মাক্বাম সমূহের পৌছার সামর্থ্য ও কুদরত থাকা।(২)সফরের খরচ এবং পরিবারবর্গের ভরণপোষণ (যাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব)করার মত সামর্থ্য থাকা।

যদি কেউ মক্কায় পৌছে যায়,এবং পরিবারবর্গকে ভরণপোষণ করার মত কোনো ব্যবস্থা রেখে আসে, বা ভরণপোষণের ব্যবস্থা হওয়ার উপর সে প্রচুর আশাবাদী থাকে, এমতাবস্থায় হজ্ব পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করতে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়,তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে।কিন্তু যদি হজ্ব পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা সম্ভবপর না হয়।যেমন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া, এবং দেশে এসে আবার মক্কায় পৌছা তার জন্য অসম্ভব হওয়া, তাহলে এমতাবস্থায় তার উপর হজ্ব ফরয হবে না।কেননা মক্কায় পৌছার সামর্থ্য থাকার অর্থই হলো,হজ্বের মৌসুমে মক্কায় পৌছার সামর্থ্য থাকা।

সুতরাং কেউ যদি হজ্বের মৌসুমের পূর্বে মক্কায় যাওয়ার ও তথায় অবস্থান করার সামর্থ্য রাখে,কিন্তু হজ্বের মৌসুমে সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য না রাখে,তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/৭৪,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৭/২৯৮)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

والحاصل: أن الزاد لا بد منه ولو لمكي كما صرح به غير واحد كصاحب الينابيع والسراج،

মক্কায় অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য ও পাথেয়(খাবারদাবারের খরচ) থাকা শর্ত হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য।অনেক উলামায়ে কেরাম এমনটা বলেছেন।

الفقير الآفاقي إذا وصل إلى ميقات فهو كالمكي قال شارحه أي حيث لا يشترط في حقه إلا الزاد و(لا)الراحلة
হুদুদে হরমের বাহির থেকে যদি কোনো ফকির হুদুদে হরমের ভিতর পৌছে যায়,তাহলে সেও মক্কায় অবস্থানরত মানুষের মত।অর্থাৎ তার উপর হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য খাবারদাবারের খরচ ব্যতীত অন্য কিছু শর্ত নয়।

وليفيد أنه يتعين عليه أن لا ينوي نفلا على زعم أنه لا يجب عليه لفقره لأنه ما كان واجبا وهو آفاقي فلما صار كالمكي وجب عليه فلو نواه نفلا لزمه الحج ثانيا. اهـ.

কোনো ফকির যদি মক্কায় চলে আসে তাহলে সে যেন তার উপর হজ্ব ফরয নয় মনে করে নফল হজ্বের নিয়ত না করে।বরং সে যেন ফরয হজ্বেরই নিয়ত করে।কেননা সে ফকির হুদুদে হরমের বাহিরে থাকার ধরুণ ইতিপূর্বে তার উপর হজ্ব ফরয হয়নি।কিন্তু এখন যখন সে হুদুদে হরমের ভিতরে চলে এসেছে,তাই তার উপর হজ্ব ফরয হয়ে গেছে।সুতরাং যদি সে এবার নফলের নিয়তে হজ্ব করে,তাহলে তার উপর ফরয হজ্ব বাকী থেকে যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৪৬০)

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...