ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নফল সদকা সবসময় দেয়া উত্তম। বিশেষ করে যখন প্রয়োজন দেখা দেয়। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন ও সুন্নতে রাসূলে অনেক উৎসাহবেঞ্জক বাণী এসেছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
(مَّن ذَا ٱلَّذِي يُقۡرِضُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضۡعَافٗا كَثِيرَةٗۚ ) [البقرة:245]
{কে আছে, যে আল্লহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন?} [সূরা আল বাকারা:২৪৫]
আবু হুরায়রা বাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সদকা করে - আর আল্লাহ হালাল ব্যতীত অন্যকিছু গ্রহণ করেন না - আল্লাহ তাআলা তা তাঁর ডান হাতে গ্রহণ করেন এরপর তিনি তা লালন করেন, যেমন তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন করে, এমনকি একসময় সে সদকা পাহাড়তুল্য হয়ে যায়।’( বুখারী ও মুসলিম)
যে ব্যক্তি গোপনে সদকা দেয় তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওই সাত জনের মধ্যে হিসাব করেছেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা তার ছায়ায় ছায়া দিবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত অন্যকোনো ছায়া থাকবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘এবং এমন ব্যক্তি যে সদকা করল, অতঃপর তা গোপন করল, এমনকি তার বাম হাত জানল না, তার ডান হাত কি দান করছে।’(বুখারী ও মুসলিম)
কাআব ইবনে উজরা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সদকা পাপ নিভিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুন নেভায়।’(বর্ণনায় তিরমিযী)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কারো কাছে ২০০ টাকা সাদাকার জন্য থাকলে, তার মধ্যে ১০০ টাকা মাসজিদে এবং ১০০ টাকা কোনো গরীবকে দান করে দেয়া উত্তম ? না ২০০ টাকাই যেকোনো একটা খাতে দান করে দেওয়া উত্তম? এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা বলব, এক খাতে দেওয়া হউক বা দুই খাতে দেয়া হউক, সওয়াবের মূল মানদন্ড হল, নিয়তের উপর। যার নিয়ত যত ইখলাছের হবে, তার তত সওয়াব হবে। চায় সে এক খাতে দেউক বা কয়েক খাতে দেউক। আল্লাহ কারো ১ টাকা কে গ্রহণ করে তাকে জান্নাত দিয়ে দিবেন। আবার কারো লক্ষ কোটি টাকাকে অগ্রাহ্য করবেন, কবুল করবেন না।
(২)যে কোনো একটিতে দেওয়া যেতে পারে। মোট কথা, এই দুই খাতের মধ্যে যে খাতের টাকার প্রয়োজন রয়েছে, সেই খাতেই টাকা দেওয়া উত্তম।
(৩)যে খাতে টাকার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে, সে খাতেই দান করার ফযিলত বেশী।
(৪)গোপন দান হওয়ার জন্য কি গ্রহীতার কাছ থেকে লুকানো শর্ত নয়। গোপন দানের অর্থ হল, দান করার পর অহংকার না করা , যাকে দেওয়া হয়েছে, তাকে কখনো খোটা না দেওয়া।
(৫) নামায চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
(৬)পানিতে ফেলে দেওয়া উত্তম। তবে ডাস্টবিনে ফেলা হারাম বা নাজায়েয হবে না।