বালেগ সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব নয়, কিন্তু সে যদি অসুস্থতা ইত্যাদি কারনে সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলে তার ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর জরুরী।
মেয়ে সন্তানের বিবাহের আগ পর্যন্ত ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর ওয়াজিব।
باب وُجُوبِ النَّفَقَةِ عَلَى الأَهْلِ وَالْعِيَالِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ مَا تَرَكَ غِنًى، وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ ". تَقُولُ الْمَرْأَةُ إِمَّا أَنْ تُطْعِمَنِي وَإِمَّا أَنْ تُطَلِّقَنِي. وَيَقُولُ الْعَبْدُ أَطْعِمْنِي وَاسْتَعْمِلْنِي. وَيَقُولُ الاِبْنُ أَطْعِمْنِي، إِلَى مَنْ تَدَعُنِي فَقَالُوا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. قَالَ لاَ هَذَا مِنْ كِيسِ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব
৪৯৬৪। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম সাদাকা হল যা দান করার পরেও মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে। উপরের হাত নীচের হাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ। যাদের ভরন-পোষণ তোমার যিম্মায় তাদের আগে দাও। (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে রেখে যাচ্ছ? লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবূ হুরায়রা আপনি কি এ হাদীস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ এটি আবূ হুরায়রা জামবিলের নয় (বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে)।
(বুখারী ৪৯৬৪)
,
★এ ভরনপোষণ হালাল টাকা থেকেই হতে হবে।
শরীয়তের বিধান হলোঃ বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
এক্ষেত্রে সে বাবার ইনকাম দিয়ে চললে গুনাহগার হবে।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারেন।
আরো জানুনঃ
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি পুরুষ আর সাবালক হলে,সে তার পিতার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।
যখন বাসায় আসবে, তখন নিজের টাকা দ্বারা খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবে। যদি কখনো বাবার টাকা দ্বারা খাবার গ্রহণ করে থাকেন, তখন উক্ত খাবার গ্রহণ পরিমাণ টাকা সদকাহ করার চেষ্টা করে দিবে।
তার উপর সর্বদা ওয়াজিব, নিজের ব্যায়ভার নিজেই গ্রহণ করা। যদি কখনো অপারগতা বশত সে বাবার টাকা গ্রহণ করে থাকে, তখন সে উক্ত টাকা তখন সদকাহ করে দিবেন যখন তার সামর্থ্য হবে।