জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
চুক্তি মোতাবেক কাজ করা ইমানের একটি অপরিহার্য বিষয়।
প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি কখনো তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও তাঁরা ওয়াদা রক্ষা করেন। নবীজি (সা.) ওয়াদা করলে যেকোনো মূল্যে তা পালন করতেন। ইসলামে ওয়াদা পালনের ব্যাপারে শত্রু-মিত্র, মুসলিম-অমুসলিম কোনো ভেদাভেদ নেই। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হুদায়বিয়ার সন্ধি। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও কুরাইশদের মধ্যে এ সন্ধিচুক্তি ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু কুরাইশরা যখন এ সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে, তখন মহানবী (সা.) অগত্যা এ সন্ধি নাকচ করে দেন। এ ছাড়া কাফিরদের সঙ্গে আরো বহু চুক্তি হয়েছে। যেসব কাফির চুক্তি ভঙ্গ করেনি, এই আয়াতে তাদের সঙ্গে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
.
ওয়াদা,চুক্তি ভঙ্গ কারীকে হাদীস শরীফে মুনাফিক বলা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ "
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত বা নিদর্শন তিনটি। সে (১) কথা বললে মিথ্যা বলে; (২) ওয়াদাহ করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার নিকট আমানাত রাখা হলে সে তার খিয়ানাত করে।
(তিরমিজি ২৬৩১)
,
অন্য হাদিসে আছে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তির ওয়াদার ঠিক নেই, তার ধার্মিকতা (ঈমান) এর ঠিক নেই।’ (সহিহ ইবনু হিব্বান : ১৯৪)।
,
ওয়াদা ভঙ্গ একটি কবিরা গুনাহ।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু যখন আপনি আগে ক্লাস করতেন, তখন মাস শেষ হলেই তারা বেতনের ফোন দিতো,আর এখন এই দুই মাস ক্লাশ না করার পর তারা আপনাকে সেই বেতনের জন্য ফোম দিচ্ছেনা,আর আপনি নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তি করেননি,শুধু মাসিক পড়ার বিনিময়ে বেতন প্রদানের চুক্তি করেছিলেন।
,
তাই আপনার চুক্তি ভঙ্গের গুনাহ হবেনা।
আপনাকে আর বেতন দিতে হবেনা।
,
তবে আপনি যে এই দুই মাস ক্লাশ করেননি,আর আগামীতে ক্লাশ করবেননা,এ সংক্রান্ত একটি ফোন করে হলেও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলে ভালো হতো।