আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
385 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. একজন ছাত্রী আগামী শুক্রবার অথবা ২৭ শে রমাদান এই দুইদিনের যেকোনো একদিন ইতেকাফের সুযোগ পাবে ইন শা আল্লাহ। এই দুইদিনের মধ্যে কোনদিনটি নির্ধারণ করলে উত্তম হবে দয়া করে পরামর্শ দিবেন শায়েখ।

২. কোনো  বালেগা মেয়ের রমাদানে ইতেকাফ করার জন্য কি মা বাবার অনুমতি পাওয়া আবশ্যক?

৩. কোনো মেয়ের ইতেকাফরত অবস্থায় ইতেকাফকারীর কোনো প্রয়োজন লাগবে কিনা জানতে এবং নিজস্ব প্রয়োজনে তার মা, বাবা ঐ রুমে প্রবেশ করতে পারবে কি?

৪. বোন ইতেকাফরত থাকলে তার নয় বছরের ছোট ভাই কৌতুহলের কারণে মাঝে মাঝে এসে দেখে গেলে তার বোন কি করছে, তবে কোনোরকম কথা বলা বা বিরক্ত না করে, এতে ইতেকাফের ক্ষতি হবে কি? নাকি সেই ছোট ভাইয়ের আসা একেবারেই নিষেধ করে দিতে হবে?

৫. রমাদানে একদিন ইতেকাফের জন্য যেদিন থেকে ইতেকাফ শুরু করবে, সেদিন মাগরিবের আগেই সেই স্থানে গিয়ে ইফতার সেখানেই করা বাধ্যতামূলক? নাকি ইফতার করে তারপর ইতেকাফে বসতে পারবে?

৬। যেদিন ইতেকাফের সময় শেষ হবে সেদিন ইতেকাফের স্থানে শুধু খেজুর দিয়ে ইফতার করে বাকি ইফতার পরিবারের সাথে করতে পারবে? এতে কি ইতেকাফ পূর্ণ হবে? নাকি সেই স্থানে ইফতার শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর ইতেকাফের স্থান থেকে বের হতে হবে?  
৭. ইতেকাফকারী কি খাবে তা পরিবারের অন্য সদস্য তার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারবে কি?

৮. ইতেকাফকারীর কোনো খাবার বা জিনিসের প্রয়োজন হলে আর পরিবারের সদস্যরা দূরের রুমে অবস্থান করলে, সে কি তাদের ডাক দিয়ে ঐ জিনিস চাইতে পারবে?

৯. ইতেকাফরত অবস্থায় মোবাইলে বিভিন্ন  মাসআলা নিয়ে পড়া যাবে কি?

★প্রশ্ন খুব বেশি হয়ে গেছে। দয়া করে একটু উত্তর দিয়েন শায়েখ। জানাটা খুব জরুরি।        
জাযাকাল্লাহু খইরন।
closed

1 Answer

0 votes
by (574,440 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﺍﻟْﻌَﺸْﺮَ ﺍﻷَﻭَﺍﺧِﺮَ ﻣِﻦْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟُﻪُ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻩِ

রাসূলুল্লাহ সাঃ ইহকাল ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত রমজানের শেষ দশে এ'তেক্বাফ করতেন।অতঃপর উনার বিবিগণ এ'তেক্বাফ করেন।
সহীহ বোখারী-২০২৬
সহীহ মুসলিম-১১৭২

মহিলারা ঘরের মসজিদে (নামাজ পড়ার স্থানে) বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবে।তবে সাবধান! পরবর্তীতে আর স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।মহিলাদের জন্য শর্ত হল,হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা।এ'তেক্বাফের মধ্যখানে যদি হায়েয চলে আসে, তাহলে এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন তো উনি আর রোযা রাখতে পারবেন না। 

পরবর্তীতে কমপক্ষে একদিন রোযা সহ এ'তেক্বাফকে কাযা করে নেবেন।সম্ভব হলে অবশিষ্ট সকল দিনের এ'তেক্বাফকে রোযাসহ কাযা করে নিতেও পারেন।

স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।

খানা পাকানোর জন্য উনি পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
,
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং আপনি ঘরের  নামাজ পড়ার স্থানে বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবেন।
এক্ষেত্রে সেখানে প্রবেশ কালে ইতেকাফের নিয়ত করবেন।
ঐ স্থান থেকেই যে কাজ গুলি করা যায়,সেগুলো করতে পারবেন।
ঐ স্থান কোনোভাবেই ত্যাগ করা যাবেনা।
শুধু মাত্র পায়খানা পেশাব করার জন্য বাহিরে (টয়লেটে) যেতে পারবেন।
দৈনন্দিনের গোসলের জন্য যেতে পারবেননা।
যদি গোসল করেন,তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ইস্তেঞ্জা (পেশাব/পায়খানা) করার জন্য বের হওয়ার সময় গোসলের কাপড় ইত্যাদি নিয়ে এক বারে বের হবেন,যাতে আবার সেই স্থানে আসতে না হয়।
দ্রুত ইস্তেঞ্জা গোসল করে চলে আসবেন।
উক্ত স্থান থেকে বাহিরে গিয়ে কাহারো সাথে কোনো কথা বলবেননা।
,
উক্ত স্থানে থেকেও অহেতুক কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
সর্বদায় কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার,নামাজ ইত্যাদিতে মগ্ন থাকবেন।     
,
রমজানের শেষ দশকে দশদিনের নিচে ইতেকাফ করলে সেটি নফল ইতেকাফ বলে গন্য হবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
★★সর্বনিম্ন এক মুহুর্তের জন্যেও  ইতিকাফের জন্য বসতে পারবে।
এক দুদিনের জন্যেও ইতেকাফ করতে পারবেন।
সেগুলো নফল ইতেকাফ হবে।
,
তবে রমজানের শেষ দশকে সুন্নাত ইতেকাফ করতে চাইলে দশদিন থাকতে হবে।
,
সুন্নাত ইতেকাফ করতে চাইলে ২০ তম রোযার সূর্যাস্থের আগেই ইতেকাফে বসতে হবে।
,
আর নফল ইতেকাফের জন্য কোনো সময় নির্দিষ্ট নেই।
যেকোনো সময় বসতে পারেন।
,

(০১)
২৭ রমদান ইতেকাফ বসা ভালো হবে।
এক্ষেত্রে আগের রাত্রী থেকেই বসবে।
,
(০২)
না আবশ্যক নয়।
তবে বলে রাখা ভালো।
,
(০৩) 
হ্যাঁ  তার মা, বাবা ঐ রুমে প্রবেশ করতে পারবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
এতে ইতেকাফের ক্ষতি হবেনা।
এক্ষেত্রে অহেতুক গল্প না করাই উচিত।
,
(০৫)
এটি যেহেতু নফল ইতেকাফ,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়।
,
(০৬)
কোনো সমস্যা নেই।
তার সম্পূর্ণ ইখতিয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।
,
(০৭)
হ্যাঁ পারবে।
,
(০৮)
হ্যাঁ পারবে।
,
তবে সে রুমের বাহিরে যাবেনা।
,
(০৯)
হ্যাঁ পড়া যাবে।
এটিও নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...