আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ এমন অবস্থা যে অবস্থায় ৩-৪ মিনিট ঘুমিয়ে পড়লেও মলদ্বারে চাপ থাকার কারণে বায়ু ত্যাগ হবার সম্ভাবনা থাকে না, এরকম অবস্থায় ঘুমের কারণে কি ওযু ভাঙবে?

২/ কোন মুসলমানের প্রয়োজন পূরণ করলে তা দশ বছরের ইতিকাফের সমান- হাদিসে এসেছে জেনেছি।  প্রশ্ন হলো- পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বা বাইরের কারোর যদি যেকোন প্রয়োজন যেমন- কারো বাচ্চা কোলে নেবার প্রয়োজন হলে, বা কাউকে কোন কাজ করে দেবার প্রয়োজন হলে বা বাবা মায়ের কোন প্রয়োজন পূরণ করলে তাও কি দশ বছরের ইতিকাফের সমান ফজিলত পাবে এরকম প্রত্যেকটি প্রয়োজন পূরণের জন্যে?

৩/ রমাদ্বানে ৫ দিন বা দশদিনের ইতিকাফে ঢুকলে শেষ দশ দিনের সুন্নাত ইতিকাফ বাদে বা  রমাদ্বানের প্রথম ২০ দিনও ইতিকাফের নিয়ত করলে তখন কক্ষের বাইরে বের হয়ে খাবার খেতে পারবে? নাকি ইতিকাফের রুমেই খাবার এনে দিতে হবে?
- লম্বা সময়ের জন্য গোসলে যেতে পারবে?

৪/শুক্রবার অন্যান্য দিনের চেয়ে ভোরে ঘুম থেকে উঠা সুন্নাত জানি। প্রশ্ন হচ্ছে- ভোরে ঘুম থেকে উঠে যদি আবার ঘুমানো হয় ৮-৯ টার দিকে বা ১০ টার দিকে  তবে সুন্নাতের খেলাপ হবে কি?

৫/ সূরা ফাতিহা বা তাশাহ্হুদ পড়ার সময় যদি এতোটাই বেখেয়াল হয়ে অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে যে,  নিজ কানেও শুনতে পায় নি সে কী তেলাওয়াত করেছে(এমনিতে তেলাওয়াতের স্বর নিজ কানে পৌঁছার মতোই ছিলো), এরকম অবস্থায় সূরা ফাতিহার কয়েকটি আয়াতের তিলাওয়াত তার কানে আসলো না, পরে আবার সম্বিৎ ফিরে পেলো! তার জন্য কি সাহু সেজদা আসবে?
নাকি পুনরায় সূরা ফাতিহা বা তাশাহ্হুদ পড়বে   আর শেষে সাহু সেজদা দিবে?

1 Answer

0 votes
by (696,920 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)শুয়ে বা হলান  দিয়ে যেকোনো প্রকারের ঘুম অজুকে ভঙ্গ করে দেয়।শুধুমাত্র সুন্নতি সূরতে কেউ ঘুমালে যেমন নামায ফাসিদ হবে না।
(২)জ্বী,নিজ মাতাপিতার কোনো প্রয়োজন পূর্ণ করলেও ১০ বৎসর ইতিকাফের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(৩)মুস্তাহাব ইতিকাফে কক্ষের বাইরে যেয়ে খানা খেতে পারবে এবং গোসল দিতে পারবে।তবে সুন্নত বা ওয়াজিব ইতিকাফে পারবে না।
(৪)শুক্রুবারে ভোরে উঠার অর্থ হচ্ছে ফজরের সময়ে উঠা।ফজরের সময়ে ঘুম থেকে উঠে যদি কেউ আবার ৮/৯ টায় ঘুমায়,তাহলে তা সুন্নতের খেলাফ হবে না।
(৫)নামাযে কুরআন তেলাওয়াত নিম্নস্বরের সীমারেখা কি?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وأما حد القراءة فنقول تصحيح الحروف أمر لا بد منه فإن صحح الحروف بلسانه ولم يسمع نفسه لا يجوز وبه أخذ عامة المشايخ هكذا في المحيط وهو المختار. هكذا في السراجية وهو الصحيح. هكذا في النقاية 
নামাযের তেলাওয়াতের জন্য হরফ গুলি পরিস্কার ভাবে উচ্ছারিত হওয়া শর্ত। যদি হরফগুলি উচ্ছারিত হয়,তবে নিজে না শুনে তাহলে সেই তেলাওয়াত/কেরাত নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।এটাই সাধারণ মাশায়েখগণের সিদ্ধান্ত।(মুহিত)এবং এটাই পছন্দনীয় মত।এমনটাই সিরাজিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।এবং এটাই বিশুদ্ধতম মত।(নুকায়া) অর্থাৎ  নিজে শুনতে হবে,নতুবা নামায বিশুদ্ধ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৬৯)

উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2570

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ঠোট হিলিয়ে উচ্ছারণ করা হয়ে থাকে,কিন্তু ঐ ব্যক্তি শ্রবণ করতে পারে না,তাহলে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। এতে সাহু সিজদা আসবে না।কিন্তু যদি কেউ এমন ভাবে পড়ে যে,ঠোট পর্যন্ত হিলেনি,এবং নড়াচড়াও হয়নি,তাহলে তাকে আবার নামায দোহড়িয়ে পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 88 views
0 votes
1 answer 207 views
...