আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
901 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালমুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ শাইখ,
১) গীবত কারীর কাছে গিয়ে যদি ক্ষমা না চাওয়া হয় তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন গীবত কারীকে ? এইভাবে যদি আল্লাহর কাছে বলা হয়, গীবত কারী হিসেবে আমাকে এবং যার গীবত করছি তাকেও মাফ করে দেও! তাহলে কি হবে?

২) কোনো বান্দা কোনো বান্দার প্রাপ্ত হক( টাকাজনিত) অনেক চেষ্টার পরও বা কোনো কারনে আদায় করতে না পারলে হকদার এর জন্য সদকা বা  ইস্তেগফার করলে কি হবে?

৩) গীবত, অহংকার, হিংসা করলে আমল নষ্ট হয়ে যায়?

৪) ফরজ নামাজ এর সমিল্লিত মোনাজাত কি বিদআত? তারাবির পর নির্দিষ্ট মোনাজাত করা কি মুবাহ নাকি বিদআত? বর্তমানে কিছু বিদআত এর নাম বললে ভালো হয় যা থেকে বেঁচে থাকা উচিৎ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)প্রশ্নটি বুঝিনি। একটু বুঝিয়ে বলবেন। কমেন্টে লিখে দিবেন। 
(২) হতে পারে। তবে হক আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। পাওয়া না গেলে তার নামে সদকাহ করে দিতে হবে। 
(৩) গীবত, অহংকার, হিংসা করলে আমল নষ্ট হয়ে যায়
(৪)নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।
অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১ /৬৪৫ -৬৬৬)

সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি অাক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।
এজন্য ইমাম সাহেব কর্তৃক মুসাল্লিদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া উচিৎ,যাতে করে তাদের আক্বিদা- বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকে।মাঝেমধ্যে সম্মিলিত মুনাজাত পরিত্যাগ করাও উচিৎ,যাতে করে জনসাধারণের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে,প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাত (বিধান হিসেবে)ফরয বা ওয়াজিব নয়।বিশেষকরে উলামায়ে কেরামের জন্য মাঝেমধ্যে পরিত্যাগ করা উচিৎ এবং জরুরী। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/372


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
√ যার গীবত করা হয়েছে তার কাছে গিয়ে যদি গীবত কারী মাফ না চায় তাহলে কাফফআরাসরূপ গীবত কারীর কি করা উচিৎ?
√ কিছু প্রচলিত বিদাতের কথা জানতে চেয়েছিলাম শাইখ। দয়া করে যদি বলতেন? 
√ বিদআত করলেও কি আমল নষ্ট হয়ে যায়?
by (14 points)
শাইখ কমেন্টের উত্তর শীগ্রই জানতে চাচ্ছি! জাযাকাল্লাহু খায়রান
by (597,330 points)
মাফ চাইতেই হবে। কেননা বান্দার হক বান্দার মাফ করা ব্যতীত হবে না। হয়তো তার কাছে মাফ চাইতে হবে। নতুবা আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। 

যে আমলের পক্ষ্যে কোনো দলীল থাকবে, সেটাই বিদআত। হাত তুলে সালাম দেওয়া, মিলাদ কিয়াম করা। ইত্যাদি। 
by (22 points)

যে আমলের পক্ষ্যে কোনো দলীল থাকবে na, সেটাই বিদআত। হাত তুলে সালাম দেওয়া, মিলাদ কিয়াম করা। ইত্যাদি। 
by (22 points)
মাফ চাইতেই হবে। কেননা বান্দার হক বান্দার মাফ করা ব্যতীত maf হবে না। হয়তো তার কাছে মাফ চাইতে হবে। নতুবা (tar kache maf chawa na gele)আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...