আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
১,জাগ্রত অবস্থায় মযী যেই কারনেই বের হোক তাতে গোসল ফরজ হয় না ওজু করতে হয়, কিন্তু ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর মযী দেখলে কি করনীয় -

*স্বপ্নে অশালীন কিছু দেখার পর মযী, *স্বপ্ন না দেখার পর ও মযী এই দুই ক্ষেত্রে হুকুম কি?

প্রশ্ন ২ঃকুরআন শিক্ষিকা হায়েজ অবস্থায় ভেঙ্গে ভেঙে কুরআন পড়ে শিখাতে পারে, কিন্তু ছাত্রীদের হায়েজ কালীন সময়ে তারা কিভাবে সবক দিবে?তারাও কি ভেঙে ভেঙে পড়তে পারবে?

প্রশ্ন ৩ঃ প্রস্রাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে গেলে হাত দিয়েও তো পরিষ্কার করতে হয় অথবা রোজা অবস্থায় মযী নির্গত হলে হাত দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হয় তাতে কি পানি ভিতরে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে?রোজা কি ভেঙে জাবে? এমন তো আগের রোজা গুলোতে হয়ে আসছে তাহলে কি সেই রোজা গুলো আদায় হয়নি?

ফরজ গোসলে নাভির মধ্যে ডলে ডলে পানি না পৌছালে ফরজ গোসল আদায় হবে?যদি কেবল উপর দিয়েই পানি পৌছে তবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) 
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে। 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে। 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ(বিধান সহ) যথাঃ- 
(১)বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত। (গোসল ফরয হবে) 
(২)মযি সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে) 
(৩)ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে না) 
(৪)বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৫)বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৬)মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৭)বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
স্বপ্নদোষ স্বরণ না থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ(বিধান সহ)যথাঃ- 
(১)বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে) 
(২)মযি সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে না) 
(৩)ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে না) 
(৪)বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) 
(৫)বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) 
(৬)মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(ফরয হবে না) 
(৭)বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) (মিনহ্তুল খালিক-১/৫৮) 
বিঃ দ্র; ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আবু ইউসুফ রাহ কে তারাফাইন বলা হয়ে থাকে।এবং ইমাম আবু-হানিফা ও আবু ইউসুফকে শায়খাইন বলা হয়ে থাকে।

 নিচের চার্টে বিষয়টা সহজে দেখানো হল-

নিশ্চিত বিশ্বাস
وَاعْلَمْ أَنَّ هَذِهِ الْمَسْأَلَةَ عَلَى اثْنَيْ عَشَرَ وَجْهًا؛ لِأَنَّهُ إمَّا أَنْ يَتَيَقَّنَ أَنَّهُ مَنِيٌّ أَوْ مَذْيٌ أَوْ وَدْيٌ أَوْ شَكَّ فِي الْأَوَّلِ وَالثَّانِي أَوْ فِي الْأَوَّلِ وَالثَّالِثِ أَوْ فِي الثَّانِي وَالثَّالِثِ وَكُلٌّ مِنْ هَذِهِ السِّتَّةِ إمَّا أَنْ تَكُونَ مَعَ تَذَكُّرِ الِاحْتِلَامِ أَوْ لَا فَيَجِبُ الْغُسْلُ اتِّفَاقًا فِيمَا إذَا تَيَقَّنَ أَنَّهُ مَنِيٌّ وَتَذَكَّرَ الِاحْتِلَامَ أَوْ لَا وَفِيمَا إذَا تَيَقَّنَ أَنَّهُ مَذْيٌ وَتَذَكَّرَ الِاحْتِلَامَ أَوْ شَكَّ أَنَّهُ مَنِيٌّ أَوْ مَذْيٌ أَوْ مَنِيٌّ أَوْ وَدْيٌ. (البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري-1/ 58) (الفتاوى الهندية-1/ 14)
«زَادَ بَعْضُهُمْ أَوْ فِي الثَّلَاثَةِ أَخْذًا مِنْ كَلَامِهِ وَعَلَيْهِ فَتَكُونُ عَلَى أَرْبَعَةَ عَشَرَ وَجْهًا ثُمَّ ضَبَطَهَا بِقَوْلِهِ إمَّا أَنْ يَعْلَمَ أَنَّهُ مَنِيٌّ أَوْ مَذْيٌ أَوْ وَدْيٌ أَوْ شَكَّ فِي الْأَوَّلَيْنِ أَوْ فِي الطَّرَفَيْنِ أَوْ فِي الْأَخِيرَيْنِ أَوْ فِي الثَّلَاثَةِ وَعَلَى كُلٍّ أَمَّا أَنْ يَتَذَكَّرَ احْتِلَامًا أَوْ لَا فَيَجِبُ الْغُسْلُ اتِّفَاقًا فِي سَبْعِ صُوَرٍ مِنْهَا، وَهِيَ مَا إذَا عَلِمَ أَنَّهُ مَذْيٌ أَوْ شَكَّ فِي الْأَوَّلَيْنِ أَوْ فِي الطَّرَفَيْنِ أَوْ فِي الْأَخِيرَيْنِ أَوْ فِي الثَّلَاثَةِ مَعَ تَذَكُّرِ الِاحْتِلَامِ فِيهَا أَوْ عَلِمَ أَنَّهُ مَنِيٌّ مُطْلَقًا وَلَا يَجِبُ اتِّفَاقًا فِيمَا إذَا عَلِمَ أَنَّهُ وَدْيٌ مُطْلَقًا وَفِيمَا إذَا عَلِمَ أَنَّهُ مَذْيٌ أَوْ شَكَّ فِي الْأَخِيرَيْنِ مَعَ عَدَمِ تَذَكُّرِ الِاحْتِلَامِ وَيَجِبُ عِنْدَهُمَا فِيمَا إذَا شَكَّ فِي الْأَوَّلَيْنِ أَوْ فِي الطَّرَفَيْنِ أَوْ فِي ثَلَاثَةٍ احْتِيَاطًا وَلَا يَجِبُ عِنْدَ أَبِي يُوسُفَ لِلشَّكِّ فِي وُجُودِ الْمُوجِبِ اهـ.»«البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري» (1/ 58):

(২)জ্বী,ছাত্রীরাও ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে পারবে।
(৩)লজ্জাস্থানের ভিতরে পানি চলে গেলে,রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।তবে লজ্জাস্থানের ভিতরে পানি না গেলে রোযা নষ্ট হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 207 views
0 votes
1 answer 185 views
...