জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
বীর্য হল যা উত্তেজনার সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে আটকিয়ে আটকিয়ে লিঙ্গ থেকে বের হয়।বীর্য বের হলে গোসল ফরয হয়ে যায়।
প্রস্রাবের পর লিঙ্গ থেকে যা বের হয়,সেটা দেখতে বীর্যর মতই গাঢ় থাকে,তবে এটা বীর্য না। বরং এর নাম হলো ওদী।যা গোসলকে আবশ্যিক করে না।
.
আরো জানুনঃ
,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
তোমরা জুনুবি হও তবে (গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)
আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে বের হয়েছে।
যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاءٍ دَافِقٍ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে, সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫, ৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,
فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কোনো উত্তেজনা ছাড়াই পিচ্ছিল কিছু বের হয়,তাহলে আপনার উপর গোসল ফরজ হবেনা।
,
আপনি অযু করলেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।
কোনো ছুরতেই নামাজ কাজা করা জায়েজ হবেনা।