আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
447 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
edited by
শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী প্রত্যেক রাকআতে বসা হয়, দ্বিতীয় ও শেষ রাকআতে তাশাহুদ ও অন্যান্য দোয়া পড়া হয়। কিন্তু অন্য রাকআতে মুসল্লী বসে আবার উঠে দাঁড়ায়। এটার কোনো নাম আছে? শাফেয়ী মাযহাবের রাফউল ইয়াদাইন সম্পর্কে জানি। কিন্তু এটার নাম ও বিস্তারিত জানি না।

Edit: শাফেয়ী মাযহাব হবে।
জাঝাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত বৈঠককে জালসায়ে ইস্তেরাহাত বলা হয়।
,
শরীয়তের বিধান হলো ১ম ও ৩য় রাকাতের পরে না বসে সোজা দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
ইমাম মালেক, সুফিয়ান ছাওরী, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ, ইমাম আহমদ, ইসহাক প্রমুখ সকলের মত হলো, উক্ত বৈঠক (জালসায়ে ইস্তেরাহাত)  করবে না।
,
তবে শুধু ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মাযহাব,(আহমদ রহঃ এর এক কউল) আর কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি করার বিধান আছে।
,     
আল্লামা আলাউদ্দীন আল মারদীনী র. আল জাওহারুন-নাকী গ্রন্থে লিখেছেন,

أجمعوا على أنه إذا رفع رأسه من آخر سجدة من الركعة الأولى والثالثة نهض ولم يجلس إلا الشافعي.( ٢/١٢٦)

অর্থাৎ ইমাম শাফেয়ী র. ছাড়া সকল ইমাম ও আলেমই এ বিষয়ে একমত যে, প্রথম ও তৃতীয় রাকাতে দ্বিতীয় সেজদার পর সোজা দাঁড়িয়ে যাবে, বসবে না। (দ্র, ২খ, ১২৬পৃ) হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রহ. ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেছেন, لم يستحبها الأكثر অর্থাৎ অধিকাংশ আলেম এটাকে মুস্তাহাবও বলেননি। (২/৩৫২)

হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেন,

كان النبي صلى الله عليه وسلم ينهض في الصلاة على صدور قدميه. أخرجه الترمذي (٢٨٨) وقال: حديث أبي هريرة عليه العمل عند أهل العلم يختارون أن ينهض الرجل في الصلاة على صدور قدميه.

অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে পায়ের উপর ভর দিয়েই উঠে পড়তেন। তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ২৮৮; বায়হাকী, ২/১২৪ এর একজন রাবী খালিদ ইবনে ইলয়াস যঈফ। তিরমিযী র. বলেন, এ হাদীস অনুযায়ীই আলেমগণের আমল। তারা নামাযে পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ানোই পছন্দ করতেন।


হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেন,

عن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال( في المسيئ في الصلاة): إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغْ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ وَاقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ وَتَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا. أخرجه البخاري (٦٦٦٧)

অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (গলদ তরীকায় নামায আদায়কারী জনৈক ব্যক্তিকে) বলেছেন, তুমি যখন নামায পড়তে ইচ্ছা কর, তখন ভালভাবে ওযু করে নাও। অতঃপর কিবলামুখী হও। আল্লাহু আকবার বলো এবং কুরআনের যতটুকু তোমার জন্য সহজ হয় পাঠ কর। অতঃপর রুকু কর এবং স্থির হয়ে রুকু কর। এরপর মাথা তোল এবং স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাক। এরপর সেজদা কর এবং সেজদায় স্থির হয়ে থাক। অতঃপর ওঠো এবং স্থির ও শান্ত হয়ে বসে পড়। এরপর আবার সেজদা কর এবং সেজদায় স্থির হয়ে থাক। অতঃপর উঠে দাঁড়াও। পুরো নামাযে এভাবেই সব কাজ কর। বুখারী শরীফ, হাদীস নং ৬৬৬৭।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উক্ত বৈঠক করার কথা ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাবে নেই।   

(০২)
ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাব মোতাবেক  তাকবিরে তাহরিমার সময় হাত উঠানো ব্যাতিত অন্যান্য সময় হাত উঠানোর বিধান নেই।
(তবে তার থেকে একটি মত পাওয়া যায়।)
 
جاء في المدونة، أن مالكاً رحمه الله قال: لا أعرف رفع اليدين في شيء من تكبير الصلاة، لا في خفض ولا في رفع؛ إلا في افتتاح الصلاة..... قال ابن القاسم: وكان رفع اليدين عند مالك ضعيفاً إلا في تكبيرة الإحرام
সারমর্মঃ
ইবনুল কাসেম রহঃ বলেছেন ইমাম মালেক রহঃ থেকে তাকবিরে তাহরিমা ব্যাতিত অন্য সময়ে হাত উঠানোর কথা দূর্বল।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 354 views
...