জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২)
মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-
بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ
“তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।
★মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]
★মনে মনে মান্নত করলে মান্নত হয় না। মান্নত হবার জন্য মুখে উচ্চারণ করা জরুরী।
النذر لا تكفى أيجابه النية بل لابد من التلفظ به (الأشباه والنظائر-89)
সারমর্মঃ
মান্নত ছাবেত হওয়ার জন্য শুধু নিয়ত যথেষ্ট নয়,বরংং উচ্চারণ করা জরুরী।
المسألة الأولى فى حقيقة النذر، وهو التزام الفعل بالقول مما يكون طاعة لله عز وجل، من الأعمال قربة (احكام القرآن لابن عربى، دار الكتب العلمية-1\352، كرتاشى-2\18)
فركن النذر: هو الصيغة الدالة عليه، وه قوله: لله عز شانه على كذا، أو على كذا، وهذا هدى، أو صدقة، أو مالى صدقة أو ما أملك صدقة أو نحو ذلك (بدائع الصنائع، كتاب النذر-4\226)
সারমর্মঃ
মান্নতের রুকন হলো এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে,যেটি তার উপর বুঝায়,,,,
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি শুধু মনে সেসব নামাজ পড়ার সে ইচ্ছা করে,তাহলে সেটি পূরন করা জরুরি নয়।
,
হ্যাঁ যদি নিজের উপর আবশ্যকীয় হবে,এমন বাক্য মুখে বলার মাধ্যমে উক্ত নামাজ গুলি আদায়ের মান্নত করে,তাহলে তাহা পূরন করা আবশ্যকীয়।
,
এক্ষেত্রে সে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে সংখ্যা মনে করে সেটি আদায় করবে।
,
(০৩)
সে স্বাভাবিক জীবনের অভ্যস্ততা বাদ দিয়ে ধারনা অনুযায়ী এই সালাত আদায়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বেনা।
বরং সময় সুযোগ মোতাবেক আস্তে ধীরেই আদায় করবে।