আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
339 views
in সালাত(Prayer) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আজকে এশার নামাযে আমার একটু দেরি হয়ে যায়। মসজিদে গিয়ে তাকবীরে তাহরিমা বলার পর রুকুতে গিয়ে "সুবহানা রব্বিয়াল" বলার পর ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠে যায়। আমি পরে "আযীম" বলে কোন রকমে রুকুর তাসবীহ শেষ করি। কিন্তু ইমাম সাহেব রুকুতে থাকা অবস্থায় পরিপূর্ণ ভাবে একবার রুকুর তাসবিহ পড়তে পারিনি। এছাড়া আমার তাসবীহ পাঠ সঠিক হয়েছে কিনা (যেহেতু তাড়াতাড়ি করে পড়েছিলাম) সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ হয়। এজন্য আমি মাসবুক হিসেবে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর অতিরিক্ত এক রাকাত আদায় করি। প্রশ্ন হচ্ছে উল্লেখিত সুরতে আমার নামায ঠিক আছে কিনা?
by (39 points)
আরেকটা বিষয় শায়েখ, উল্লেখিত অবস্থায় যদি নামায কাযা আদায় করতে হয় তাহলে কি বিতর এবং তারাবির নামায সহ কাযা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ رَجُلٍ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ :« إِذَا جِئْتُمْ وَالإِمَامُ رَاكِعٌ فَارْكَعُوا ، وَإِنْ سَاجِدًا فَاسْجُدُوا ، وَلاَ تَعْتَدُّوا بِالسُّجُودِ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الرُّكُوعُ 

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমরা আস আর ইমাম রুকু অবস্থায় থাকে, তাহলে তোমরা রুকু কর। আর যদি সেজদা অবস্থায় থাকে, তাহলে সেজদা কর। তবে সেজদা দ্বারা তা রাকাতের মাঝে গণ্য করো না, যদি না এর সাথে রুকু থেকে থাকে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৯, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৫}
.
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ১ম রাকাত পেয়েছেন বলেই ধর্তব্য হবে।
সেক্ষেত্রে আপনি যে ইমামের সাথে ৪র্থ রাকাত আদায় করার পত ৫ম রাকাত আদায় করেছেন,এক্ষেত্রে আপনার জন্য একাজটি করা ঠিক হয়নি।
,
যেহেতু অতিরিক্ত এক রাকাত আদায় করেছেন,তাই সেজদায়ে সাহু আদায় করা আপনার ওপর ওয়াজিব ছিলো।
,
আপনি যদি সেজদায়ে সাহু আদায় না করে থাকেন,তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে মনে হলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
ওয়াক্ত চলে গেলে আবার আদায় করা আবশ্যক কিনা,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
,
সতর্কতা হলো আদায় করা,আদায় না করলেও ফরজ আদায় হয়ে যাওয়ার কারনে সেই নামাজ যিম্মা থেকে সাকেত ধরা যাবে।
,
তাই উক্ত বিতর নামাজের কাজা আদায় না করলেও সমস্যা নেই।
,
আর তারাবিহ নামাজের ওয়াক্তের পর আর কোনো কাজা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 199 views
0 votes
1 answer 122 views
...