আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

★ দশম শ্রেণিপড়ুয়া একজন ছাত্রী প্রথম ইতিকাফ করতে চাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা রমাদানের শেষ দশদিন করতে না দেয়ায় অন্তত শেষ  দশকের একদিন হলেও ইতিকাফ করতে চাচ্ছে।

১. এখন রমাদানে একদিন ইতিকাফ করতে চাইলে কখন শুরু করতে হবে এবং কখন শেষ করতে হবে?

২. একটা আলাদা রুমে খাটের উপর ইতিকাফ করা যাবে কি?

৩. খাটে নামাজ পড়া ও কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে কি?

৪. রমাদানের বাইরে অন্য সময় ইতিকাফ করলে কি রোজা রাখা আবশ্যক?

৫. খাটের উপর ইতিকাফ করলে কি মশারী টাঙিয়ে রাখা জরুরী?

৬. রমাদানের বাইরে অন্য সময় একদিন ইতিকাফ করতে চাইলে কখন শুরু করতে হবে এবং কখন শেষ করতে হবে?

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শেষ  দশকের একদিন হলেও ইতিকাফ করা যাবে। এটা মুস্তাহাব হিসেবে গণ্য হবে। 

«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৯) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়। 

রমজান মাসের শেষ বিশদিন কেউ ইতিকাফের নিয়ত করল। এরমধ্যে প্রথম দশদিনের ইতিকাফ কে শরীয়তের পরিভাষায় মুস্তাহাব ইতিকাফ বলা হবে। 

«وَلَوْ اعْتَكَفَ الرَّجُلُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُوجِبَ عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 214)
যদি কেউ ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করে , অতঃপর ইতিকাফকে ভঙ্গ করে তাহলে তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করার পর ভঙ্গ করলে, কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং সুন্নত ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না। তবে একদিনের ইতিকাফকে রোযা সহ কাযা করা অত্যাবশ্যকীয় হবে। কেননা সুন্নত শুরু করার পর তা পূরা করা ওয়াজিব। যদি কেউ এই একদিনের ইতিকাফকে কাযা না করে তাহেল তার গোনাহ হবে। এবং এটা কবিরা গোনাহ হবে।  তবে বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করা উচিৎ না। ( আহকামে ইতিকাফ-তাকি উসমানি-৫৯)

(২) মাগরিবের পূর্বে ইতিকাফে বসতে হবে। এবং পরের দিন মাগরিবের পরে ইতিকাফ থেকে বের হবে। 

(৩)খাটে নামাজ পড়া ও কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে 

(৪)রমাদানের বাইরে অন্য সময় ইতিকাফ করলেও জা রাখা আবশ্যক হবে যদি ওয়াজিব বা সুন্নত ইতিকাফ হয়। আর নফল ইতিকাফ তিন  দিনের কম হলে রোযা লাগবে না। 

(৫)খাটের উপর ইতিকাফ করলে মশারী টাঙিয়ে রাখা ভালো। 

(৬) পূর্বে বলা হয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 302 views
...