ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না)
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)
টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ
অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আম্মু যদি ইসলামের বিধানকে বিদ্রুপ করে এরকম বলে থাকেন, তাহলে উনার ঈমান চলে যাবে। আর যদি উনি এমনিতেই এটা বলে থাকেন, তাহলে যদিও উনার ঈমান চলে যাবে না তবে এরকম কথাবর্তা সব সময় ঈমানকে সংকায় ফেলে রাখে। উনার নিয়ত কি ছিল, এটা যদি তিনি স্পষ্ট না বলেন, তাহলে আপাতত উনার কথাকে ভালোর উপর ধরা হবে। তখন উনার ঈমান নষ্ট হবে না। উপনাকে হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে বুঝাতে থাকুন। যদি উনার এরকম কথা বার্তা চলতে থাকে, তাহলে মৃত্যুর সময় কার কি হয়? সেটাতো আল্লাহ-ই ভালো জানবেন।