আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

(মহান আল্লাহর ওয়াস্তে পড়ুন আমার সম্পূর্ন আর্টিকেল টা)

আমার আম্মুকে নিয়ে বড় টেনশনে আছি। উনি শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ। বয়স, ৪০+।

মাঝে মধ্যে এমন এমন কথা বলেন যেগুলা বলা ইসলামি শরীয়াহর দিক থেকে কাম্য নয়।
এর মধ্যে একটি উদাহরন দেই, আমি টাখনুর উপর প্যান্ট পরিধান করি। টাখনু উপরের সীমানা থেকে ৪/৫ আংগুল পরিমান উপরে পরিধান করি,,বালেগ হুওয়া পর থেকে এখন ৫ বছর প্রায়।

সর্বদা উনি বলেন না, মাঝে মধ্যে হঠাত করে বাহ্যিক দিক থেকে খারাপ লাগে শুনতে এরকম কথা বলে ফেলেন।

বাইরে কোথাও যদি উনার সাথে যাই অথবা আজকের কথা বলি,,আজ আমি ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময়
আমার প্যান্ট দেখে বলে মুুুচকি হেসে হেসে বললেন, "জাংগি পড়ে ফেললে না কেন!"
এরকম কথা শুনায় আমার খুব খারাপ লাগছে,যা শরীয়তের ওয়াজিব একটি বিষয়। জানি না উনার মনের অবস্থা কি,, আল্লাহ্ মালুম।  এই ধরনের কথা বলার দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15769 নং প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে, 
হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ - ﺍﻟْﻤُﺴْﺒِﻞُ ( ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﺇﺯﺍﺭﻩ ) ﻭَﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ [ ﻭﻓﻰ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻻَ ﻳُﻌْﻄِﻰْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﺇِﻻَّ ﻣِﻨْﻪُ ] ﻭَﺍﻟْﻤُﻨَﻔِّﻖُ ﺳِﻠْﻌَﺘَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﻠِﻒِ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺏِ –
তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ কেয়ামতের দিন কোনো কথা বলবেন না,এবং তাদের দিকে তাকাবেন মও না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তারা হ’ল-
(১) টাখনুর নীচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী,
(২( খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোন কিছু দান করে না) 
(৩) মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।(মুসলিম ১০৬ মিশকাত ২৭৯৫)
টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান সম্পর্কে তিনটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।যথাঃ-(১)হারাম।(২)মাকরুহ(৩)মুবাহ

অহংকারের উদ্দেশ্যে হলে হারাম।
অহংকার ব্যতীত এমনিতেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান মাকরুহ।আর বে-খেয়ালে হলে মুবাহ।
تَقْصِيرُ الثِّيَابِ سُنَّةٌ وَإِسْبَالُ الْإِزَارِ وَالْقَمِيصِ بِدْعَةٌ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْإِزَارُ فَوْقَ الْكَعْبَيْنِ إلَى نِصْفِ السَّاقِ وَهَذَا فِي حَقِّ الرِّجَالِ، وَأَمَّا النِّسَاءُ فَيُرْخِينَ إزَارَهُنَّ أَسْفَلَ مِنْ إزَارِ الرِّجَالِ لِيَسْتُرَ ظَهْرَ قَدَمِهِنَّ. إسْبَالُ الرَّجُلِ إزَارَهُ أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ إنْ لَمْ يَكُنْ لِلْخُيَلَاءِ فَفِيهِ كَرَاهَةُ تَنْزِيهٍ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মর্মার্থ- পরুষের জন্য অহংকার ব্যতীত টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৩৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আম্মু যদি ইসলামের বিধানকে বিদ্রুপ করে এরকম বলে থাকেন, তাহলে উনার ঈমান চলে যাবে। আর যদি উনি এমনিতেই এটা বলে থাকেন, তাহলে যদিও উনার ঈমান চলে যাবে না তবে এরকম কথাবর্তা সব সময় ঈমানকে সংকায় ফেলে রাখে। উনার নিয়ত কি ছিল, এটা যদি তিনি স্পষ্ট না বলেন, তাহলে আপাতত উনার কথাকে ভালোর উপর ধরা হবে। তখন উনার ঈমান নষ্ট হবে না। উপনাকে হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে বুঝাতে থাকুন। যদি উনার এরকম কথা বার্তা চলতে থাকে, তাহলে মৃত্যুর সময় কার কি হয়? সেটাতো আল্লাহ-ই ভালো জানবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...