জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ এইভাবে তথা ঈশার সুন্নাতের আগে তারাবিহ পড়া যাবে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 169735 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
তবে তারাবিহ শেষ হলে আগে সুন্নাত পড়ে তারপর বিতর নামাজ আদায় করবেন।
ঈশার পর দুই রাকাত সুন্নাত এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
তাই এটিকে বিনা কারনে ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবেনা।
কারন বশত ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাসও গড়ে তোলা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا "
ইবনু ‘উমার রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সলাতে পরিণত করবে।
বুখারী (অধ্যায় : বিতর, অনুঃ বিতরকে শেষ সলাত গণ্য করা, হাঃ ৯৯৮), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রাতের সলাত দু’ দু’ রাক‘আত করে এবং তার শেষে বিতর এক রাক‘আত) আবু দাউদ ১৪৩৮)
(০২)
হ্যাঁ এক্ষেত্রে নিজের মনের প্রবল ধারনা কেই সঠিক রাকাত সংখ্যা বলে ধরে নিবেন।
যদি প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে দুটি ধারনার মধ্যে কম সংখ্যা যেই ধারনাটি,সেটিই ধরে নিয়ে নামাজ পড়বেন।
নতুন করে শুরু করবেনা।
,
(০৩)
এগুলোর কোনোটাই অযু ভেঙ্গে যাওয়ার কারন নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ