ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কুরআনকে এমন ভাবে বহন করতে হবে, যাতে করে কুরআনের সম্মানে কোনো প্রকার ব্যঘাত না ঘটে। সুতরাং ডান হাত দ্বারা বুকে জড়িয়ে নেয়াই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হবে।
(২) মগরিব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ফজর পর্যন্ত ইবাদত করাই উত্তম। এর মধ্যে শেষ রাত্রিতে বিশেষভাবে যত্নসহকারে ইবাদতে কাটানো উত্তম।
(৩)লাইলাতুলকদর এ সারারাত ইবাদত করতে চাইলে জায়নামাজে বসে ইবাদত করা শর্ত নয়, বরং বিছানায় বসে, শুয়ে ,দাড়িয়ে যেকোনোভাবে আল্লাহর যিকির, ইবাদত করা যাবে।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن أم المؤمنين عائشة رضي الله عنها أنها قالت : كان النبي صلى الله عليه وسلم : ( يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ )
আমার হায়েয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন পড়লেন।(সহীহ বোখারী-২৯৭,সহীহ মুসলিম-৩০১)
ইবনে রজব হাম্বলী রাহ বলেন,
"وفي الحديث : دلالة على جواز قراءة القرآن متكئاً ، ومضطجعاً ، وعلى جنبه ، ويدخل ذَلِكَ في قول الله عز وجل : ( الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَى جُنُوبِهِمْ ) آل عمران/191" انتهى .
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,হেলান দিয়ে,কাৎ হয়ে,চিৎ হয়ে কুরআন তেলাওয়াত জায়েয। এবং এ হুকুম নিম্নোক্ত আয়াত থেকে ও বুঝা যায়।
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।সূরা আলে ইমরান-১৯১(সূত্র ফাতহুল বারী-১/৪০৬)
(৪) একটি মিসওয়াককে যতদিন ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে ।