আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
276 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এক বা একাধিক কুরআন নিয়ে যাওয়ার জন্য কুরআন বহন করার সঠিক নিয়ম কোনটি?

অনেক জায়গায় পড়েছি, কুরআনকে কাঁধে বা হাতের ব্যাগে ঝুলিয়ে নেয়া যাবে না, শুধু ডান হাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিতে হবে। তাহলে যাদের পকেট কুরআন বা ছোট সাইজের কুরআন আছে তারা কিভাবে নিবে? পকেটে বা ট্রলি ব্যাগে রাখলে কি গুনাহ হবে?

২. রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুলকদর এর আশায় কেউ সারারাত ইবাদাত করতে চাইলে তাকে কখন থেকে ইবাদত শুরু করতে হবে মাগরিব এর পর থেকে নাকি ইশার নামাজের সময় থেকে। আর সারারাত জেগে ইবাদতের সময়সীমা কতক্ষণ পর্যন্ত,  ফজর পর্যন্ত নাকি ফজরের পরও জেগে থাকতে হবে?

৩. লাইলাতুলকদর এ সারারাত ইবাদত করতে চাইলে তা কি জায়নামাজেই করতে হবে নাকি কেউ বিছানায় বসে, শুয়ে যিকির করতে চাইলেও করতে পারবে?

৪. একটি মিসওয়াক সর্বোচ্চ কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে তার কি কোনো সময়সীমা আছে হাদিস অনুসারে?

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কুরআনকে এমন ভাবে বহন করতে হবে, যাতে করে কুরআনের সম্মানে কোনো প্রকার ব্যঘাত না ঘটে। সুতরাং ডান হাত দ্বারা বুকে জড়িয়ে নেয়াই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হবে। 

(২) মগরিব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ফজর পর্যন্ত ইবাদত করাই উত্তম। এর মধ্যে শেষ রাত্রিতে বিশেষভাবে যত্নসহকারে ইবাদতে কাটানো উত্তম। 

(৩)লাইলাতুলকদর এ সারারাত ইবাদত করতে চাইলে  জায়নামাজে বসে ইবাদত করা শর্ত নয়, বরং  বিছানায় বসে, শুয়ে ,দাড়িয়ে যেকোনোভাবে আল্লাহর যিকির, ইবাদত করা যাবে। 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن أم المؤمنين عائشة رضي الله عنها أنها قالت : كان النبي صلى الله عليه وسلم : ( يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ )
আমার হায়েয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন পড়লেন।(সহীহ বোখারী-২৯৭,সহীহ মুসলিম-৩০১)

ইবনে রজব হাম্বলী রাহ বলেন,
"وفي الحديث : دلالة على جواز قراءة القرآن متكئاً ، ومضطجعاً ، وعلى جنبه ، ويدخل ذَلِكَ في قول الله عز وجل : ( الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَى جُنُوبِهِمْ ) آل عمران/191" انتهى .
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,হেলান দিয়ে,কাৎ হয়ে,চিৎ হয়ে কুরআন তেলাওয়াত জায়েয। এবং এ হুকুম নিম্নোক্ত আয়াত থেকে ও বুঝা যায়।

الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।সূরা আলে ইমরান-১৯১(সূত্র ফাতহুল বারী-১/৪০৬)

(৪) একটি মিসওয়াককে যতদিন ইচ্ছা  ব্যবহার করা যাবে ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...