আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,029 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এখনকার ফিতনার যুগে ইমান কিভাবে রক্ষা করবো? আমারা সবাই কম বেশি ফেইসবুক চালাই,এখানে ইসলাম ও আলেম নিয়ে যা হচ্ছে। তাছাড়া কোন আলেম ভালো কোন আলেম হকপন্থী না কিভাবে বুঝবো। দেখা যায় অনেক আলেম বলে এক কথা মাঝখান দিয়ে আরেকদল আলেম চুপ করে বসে।

এ অবস্থা থেকে আমরা সাধারণ রা কিভাবে উত্তরণ পাবো?

১.আমি জানতে চাই বর্তমানের হকপন্থী আলেম কারা?

২.আমি কাদের ফলো করতে পারি? যাতে পথভ্রষ্ট না হই।

প্লিজ আল্লাহর ওয়াস্তে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ  

إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ

‘‘যারা নিজেদের (পূর্ণ পরিণত) দীনকে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করে নিয়েছে আর (আপন আপন অংশ নিয়ে) দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে তাদের কোন কাজের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই।’’ (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ঃ ১৫৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي "

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উন্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বানী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উন্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত।

হাসানঃ তিরমিজি ২৬৪১, মিশকাত, তাহকীক সানী (১৭১), সহীহাহ (১৩৪৮)।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ إِبْرَاهِيْمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمنِ الْعُذْرِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَحْمِلُ هذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ عُدُوْلُه يَنْفُوْنَ عَنْهُ تَحْرِيْفَ الْغَالِيْنَ وَانْتَحَالَ الْمُبْطِلِيْنَ وَتَأْوِيْلَ الْجَاهِلِيْنَ.

ইবরাহীম ইবনু ‘আবদুর রহমান আল ‘উযরী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আগত জামা‘আতের মধ্যে নেক, তাক্বওয়াসম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য মানুষ (কিতাব ও সুন্নাহর) এ জ্ঞান গ্রহণ করবেন। আর তিনিই এ জ্ঞানের মাধ্যমে (কুরআন-সুন্নাহ) সীমালঙ্ঘনকারীদের রদবদল, বাতিলপন্থীদের মিথ্যা অপবাদ এবং জাহিল অজ্ঞদের ভুল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে বিদূরিত করবেন।
(সহীহ : বায়হাক্বী ১০/২০৯,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৪৮)

একজন সাধারণ দ্বীনদার ব্যক্তিদের জন্য হক্কানী আলেম চিনার সবচে’ সহজ পদ্ধতি হল,যে আলেমের চেহারা ও পোশাকে সুন্নতের ছাপ রয়েছে,কথায় আচরণে তাকওয়া পরহেযগারী,বিদআতের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, সুন্নতের প্রতি থাকে সদা আগ্রহী, এবং  ভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না, ফিতনা তৈরী করেনা,উক্ত ব্যক্তিকে আপনি হক্কানী আলেম হিসেবে বুঝে নিতে পারবেন।

আরো জানুনঃ  
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যারা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পথ,মত,নীতি, আদর্শকে আঁকড়িয়ে ধরে আছে,এক্ষেত্রে দুনিয়ার কোনো লোভ বা ভয়ের দিকে তারা তাঁকিয়ে নেই,একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে,দুনিয়াবি কোনো কারনে তাদের মাসয়ালা,মাসলাক পরিবর্তন হয়না,শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ, মাসয়ালা তারা প্রদান করেনা,তাদেরকেই হক পন্থি আলেম হিসেবে ফলো করবেন।
তারাই উম্মাহর আইডল, ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...