আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (80 points)
কারো চেহারা নিয়ে হাসলে কি কুফরী হবে? কারন মানুষ তো আল্লাহর সৃষ্টি।এটা নিয়ে হাসলে কি কুফরী হবে। একজনের চেহারা দেখার পর হাসি পেল তার মনে কোনো কুফরী নিয়ত ছিল না তৎক্ষণাৎ সে কালিমা শাহদাত পরে নিল। তার কি ঈমান ঠিক আছে?


ইন্টারনেটে একটি হাদিস দেখেছিলাম যে পুরুষ মানুষ জামাত বিনা ওজরে জামাত ত্যাগ করলে নামাজ হবে না।এ হাদিস কি সহীহ? কেউ যদি বিনা ওজরে জামাত না পরে এটা কবিরা গুনাহ তা জানি কিন্তু নামাজ কি একেবারেই হবে না? এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের মত কি

1 Answer

0 votes
by (707,920 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করা গোনাহ।
https://www.ifatwa.info/5449নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।(সূরা হুজুরাত-১১)

কাউকে নিয়ে হাসাহাসি করা গোনাহ। তবে এজন্য কেউ কাফির হবে না।

(২)
https://www.ifatwa.info/1365 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আদ্দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে জামাত সম্পর্কিয় বিধি-বিধান সুবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে, সেখান থেকে কিছু আলোচনা ভাবার্থ সহ উল্লেখ করছি---
(والجماعة سنة مؤكدة للرجال) قال الزاهدي: أرادوا بالتأكيد الوجوب إلا في جمعة وعيد فشرط. وفي التراويح سنة كفاية، وفي وتر رمضان مستحبة على قول. وفي وتر غيره وتطوع على سبيل التداعي مكروهة، وسنحققه. ويكره تكرار الجماعة بأذان وإقامة في مسجد محلة لا في مسجد طريق أو مسجد لا إمام له ولا مؤذن
জামাতে নামায পড়া পুরুষদের জন্য সুন্নতে মু'আকক্কাদাহ।মু'আক্কাদাহ দ্বারা ওয়াজিব উদ্দেশ্য।তবে জুম্মা এবং ঈদের নামাযে জামাত সুন্নত নয়,বরং এক্ষেত্রে জামাত হওয়া এই নামাযের জন্য শর্ত।তারাবিহর নামাযে জামাত সুন্নতে মু'আক্কাদাহ আলাল কেফায়া।রমজানে বিতিরের নামাযে জামাত মুস্তাহাব।রমজান ব্যতীত বিতিরের জামাত এবং হাকডাক করে অন্যান্য নফল নামাযের জামাত মাকরুহ।মহল্লার মসজিদে এক আজান এবং এক ঈকামতে দুই জামাত মাকরুহ।তবে রাস্তার পাশের মসজিদ বা এমন মসজিদ যেখানে ইমাম-মু'য়াজ্জিন নির্ধারিত নয়,সেখানে একাধিক জামাত মাকরুহ নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা কারণে জামাত তরক করলে গোনাহ হবে।বাসায় বা একাকি পরবর্তীতে নাসায পড়লে সেই নামায আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...