ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি ঐ নওমুসলিম পুরুষ হন,তাহলে ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথেই উনার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে,কাফিরের সঙ্গকে পরিত্যাগ করে কোনো মুসলমান এলাকায় হিজরত করা এবং সেই শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজের ঈমান আমলকে হেফাজত করার চেষ্টা করা।
পরিচিত ও আশপাশের সমস্ত মুসলমানের উপর ওয়াজিব যে, উক্ত নও মুসলিমের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা।
যদি নও মুসলিম মহিলা হন,এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হন, তাহলে উনার উপর ওয়াজিব কোনো মুসলমান যুবককে বিয়ে করে,তার সাথে বসবাস করা।এক্ষেত্রে স্থানীয় ও পরিচিত মুসলমাদের উপর ওয়াজিব হল,উক্ত নও মুসলিম মহিলার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা।
যদি নওমুসলিম মহিলার সাহায্যার্থে কোনো মুসলান এগিয়ে না আসে,এবং ইবাদত তথা নামায রোযা করতে পরিবার থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে, কিংবা জীবন নাশের সম্ভাবনা থাকে,যেমনটা আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন,তাহলে কোনো একটা ব্যবস্থা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নওমুসলিম মহিলা লুকিয়ে নামায পড়ার চেষ্টা করবে।যদি লুকিয়ে পড়াও সম্ভব না হয়,তাহলে শুধুমাত্র তাসবিহ পাঠ করবে।এবং ভবিষ্যতে ঐ নামাযগুলোকে কাযা করে নেবে।