ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাহিত্য এর অংশ হিসেবে নাটক যাবে। তবে তাতে হারাম কোনো বিষয় থাকতে পারবে না।
(২)
না, গোনাহ হবে না। তবে আকিদাকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে।
(৩)
এক মজলিসে একটি সেজদার আয়াতকে যতবারই তেলাওয়াত করা হোক না কেন, একটি সেজদাই ওয়াজিব হবে।
যেমন ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য একটি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
مَنْ تَلَا آيَةَ السَّجْدَةِ مِرَارًا فَإِنْ كَانَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ فَعَلَيْهِ سَجْدَةٌ وَاحِدَةٌ، وَإِنْ كَانَ فِي مَجَالِسَ مُتَفَرِّقَةٍ فَعَلَيْهِ بِكُلِّ تِلَاوَةٍ سَجْدَةٌ،
মাবসুত-সারাখসী-৪/৭৯
মজলিস-
যখন কেউ কোনো স্থানে থাকবে যতক্ষণ না সে সেই স্থান থেকে উঠে চলে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা এক মজলিস হিসেবেই গণ্য হবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَالْمَجْلِسُ وَاحِدٌ وَإِنْ طَالَ أَوْ أَكَلَ لُقْمَةً أَوْ شَرِبَ شَرْبَةً أَوْ قَامَ أَوْ مَشَى خُطْوَةً أَوْ خُطْوَتَيْنِ أَوْ انْتَقَلَ مِنْ زَاوِيَةِ الْبَيْتِ أَوْ الْمَسْجِدِ إلَى زَاوِيَةٍ إلَّا إذَا كَانَتْ الدَّارُ كَبِيرَةً كَدَارِ السُّلْطَانِ
ভাবার্থঃ
মজলিস-কে এক মজলিস হিসেবে গণনা করা হবে,
*মজলিস যত লম্বাই হোক,
*বা সেখানে খাবার গ্রহণ করা হোক,
*বা সে দাড়িয়ে যাক,
*অথবা এক কদম বা দুই কদম চলাচল করুক,
*অথবা ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কিংবা মসজিদের এক কোনে থেকে অন্য কোনে চলে যাক,
সর্বাবস্থায় উক্ত মজলিসকে ঐ ব্যক্তির জন্য এক মজলিস হিসেবেই গণনা করা হবে।
হ্যা যদি ঘর বেশ বড় হয় যেমন রাজপ্রসাদ তাহলে এমতাবস্তায় উক্ত ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কেউ গেলে, তার পূর্বের মজলিস খতম হয়ে যাবে।তথা তখন আর তার এক মজলিস থাকবেনা,বরং তার জন্য তখন একাধিক মজলিস হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৪ (শেষ)