আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
853 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (63 points)

ফতোয়া 9706 (https://ifatwa.info/9706/) তে বলেছেন, সকল সরকারী চাকুরীজীবী তাদের চাকরি শেষে যেই টাকা প্রতি মাসে পান, সেটা গিফট, তাই জায়েজ।

কিন্তু, যারা সরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন? কিংবা এমন পদে ছিলেন, যেই পদে চাকরি জায়েজ নয়! তাদের পেনশন কি জায়েজ হবে?

যদি জায়েজ না হয়, এমন ব্যক্তিদের বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে আত্মীয় হলে, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবার একটা বিরাট আশঙ্কা থাকে। তখন করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
www.ifatwa.info/9706 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।

প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে।
যথা- 

(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে।এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।

(খ)ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি যদি অপশনাল নীতিমালার আওতাধীন থাকে। যা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলা যায়।তাহলে যতটুকু টাকা ইনকাম ট্যাক্স রূপে কেটে রাখা হয়েছে,পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ততটুকু টাকাই তার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে।অতিরিক্ত টাকাকে এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে।কেননা সে ইচ্ছা করলে কর্তনকৃত ঐ টাকাগুলোকে পূর্বেই নিজ হাতে নিয়ে আসতে পারত।যখন সে ইচ্ছা করে আনেনি।তাই বুঝা গেল যে,সে ইচ্ছা করে সুদে লাগিয়েছে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1246

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
বৈধ পেশার পেনশন বা প্রভিডেন্ট ফান্ড হালাল। তবে অবৈধ চাকুরীর পেনশন বা প্রভিডেন্ট ফান্ড কখনো জায়েয বা হালাল হবে না। এবং যাদের এ ছাড়া আর কোনো ইনকামের ব্যবস্থা নাই, তাদের ঘরে কোনো প্রকার দাওয়াত খাওয়া জায়েয হবে না। সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য বিভিন্ন হেকমতকে গ্রহণ করা যেতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...