পবিত্র কুরআন মজীদে সূরা আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
الذين يتبعون الرسول النبي الأمي الذي يجدونه مكتوبا عندهم في التوراة والإنجيل
আলোচ্য আয়াতে রাসূলু (সাঃ)-কে "উম্মী নবী" বলা হয়েছে।
ইবন আব্বাস রাঃ বলেন, (اُمِّيْ) উম্মী' শব্দের অর্থ হল নিরক্ষর। যে লেখা-পড়া কোনটাই জানে না। [বাগভী]
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেও বলেছেন, إنا أمة أمية لا نكتب ولا نحسب “আমরা নিরক্ষর জাতি। লিখা জানি না, হিসাবও জানি না”। [বুখারী: ১০৮০]
সাধারণ আরবদেরকে এ কারণেই কুরআন (اُمِّيِّيْنَ) বা নিরক্ষর জাতি বলে অভিহিত করেছে যে, তাদের মধ্যে লেখা-পড়ার প্রচলন খুবই কম ছিল। কারও কারও মতে উম্মী শব্দটি ‘উম্ম’ শব্দের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে বলা হয়েছে। আর উম্ম অর্থ, মা ! অর্থাৎ সে তার মা তাকে যেভাবে প্রসব করেছে সেভাবে রয়ে গেছে। কারও কারও মতে শব্দটি উম্মত শব্দের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে বলা হয়েছে। পরে সম্পর্ক করার নিয়মানুসারে তা বর্ণটি পড়ে গেছে। তখন অর্থ হবে, উম্মতওয়ালা নবী। কারও কারও মতে, শব্দটি উম্মুল কুরা’ যা মক্কার এক নাম, সেদিকে সম্বন্ধযুক্ত করে বলা হয়েছে। অর্থাৎ মক্কাবাসী। [বাগভী]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বেয়াদবি হবেনা।
(০২)
রাসুল সাঃ এর সিল ছিলো,সেটিই চিঠি ইত্যাদি নিচে মেরে দিতেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَتَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كِتَابًا ـ أَوْ أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ ـ فَقِيلَ لَهُ إِنَّهُمْ لاَ يَقْرَءُونَ كِتَابًا إِلاَّ مَخْتُومًا. فَاتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ نَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِهِ فِي يَدِهِ. فَقُلْتُ لِقَتَادَةَ مَنْ قَالَ نَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ أَنَسٌ.
আনাস ইবন মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা পত্র লিখলেন অথবা একখানা পত্র লিখতে ইচ্ছা পোষণ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ করেনা। অতঃপর তিনি রূপার একটি আংটি (মোহর) তৈরি করিয়ে নিলেন যাতে খোদিত ছিল (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ)। আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছি [শু‘বা (রহ.) বলেন] আমি কাতাদাহ (রহ.) কে বললাম, কে বলেছে যে, তার নকশা (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ছিল? তিনি বললেন, ‘আনাস (রাযি.)। (বুখারী শরীফ ২৯৩৮, ৫৮৭০, ৫৮৭২, ৫৮৭৪, ৫৮৭৫, ৫৮৭৭, ৭১৬২; মুসলিম ৩৭/১২ হাঃ ২০৯২, আহমাদ ১২৯৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৫)
পাগড়ী পরিধান করা সুন্নাতে যায়েদা যা মুস্তাহাব হিসেবে পরিগণিত। তা জরুরী নয় বরং পাগড়ী পরিধান আহলে আরবদের আদত বা অভ্যাগত ছিল অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাঃ পাগড়ীকে এবাদত হিসেবে পরিধান করেননি।কেউ যদি আল্লাহর রাসুল সাঃ এর অনুসরণের নিয়তে পরিধান করে তাহলে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কাজ।(জামেউল ফাতাওয়া ৩/১৬২)
মুগীরা ইবনে শুবা রা. বলেন,
একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির উপর মাসাহ করলেন।(সহীহ মুসলিম-৮১)
সাহাবা, তাবেয়ীগণও নামাযে এবং নামাযের বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাপকভাবে পাগড়ি ব্যবহার করতেন। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী ১/৫৬
আরো জানুনঃ
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র ঘুমানোর সময় ব্যাতিত সর্বাবস্থায় টুপি পড়া সুন্নাত।
মাথায় টুপি দেওয়া পোশাকের সুন্নাত।
এটা শুধু নামাজের সাথে খাছ নয়,বরং রাসুল সাঃ এবং হযরতে ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ সবসময় পাগড়ি টুপি পরিধান করতেন।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৩৪৬)
বিস্তারিত জানুনঃ
আর যারা দাওরায়ে হাদীস শেষ করার পর তাখাচ্চুছ ফিল ফিকহিল ইসলামী তথা ফতোয়া বিভাগ থেকে ফারেগ হোন,তাদেরকে মুফতী বলা হয়।
‘মাওলানা’ উপাধি মধ্য এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহূত হয়ে থাকে। ‘মাদরাসা’ কিংবা ‘দারুল উলুম’ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা ব্যক্তিকে ‘মাওলানা’ বলা হয়ে থাকে।