ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَعَدَ فِي التَّشَهُّدِ، وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى، وَعَقَدَ ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ، وَأَشَارَبِالسَّبَّابَةِ.
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ যখন নামাযের বৈঠকে বসতেন,তখন উনি উনার বাম হাতকে বাম উড়ুর উপর রাখতেন।এবং ডান হাতকে ডান উড়ুর উপর রাখতেন।এবং তিপ্পান্ন গিড়ায় হাতের আঙ্গুলিকে বাধতেন।এবং শাহাদত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৯০৬)
মোল্লা আলী ক্বারী রাহ, وَعَقَدَ ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ তথা
হাতের অঙ্গুলিকে কোন পদ্ধতিতে বাধতে হয়,তার ব্যাখ্যা করে তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ করে তৃতীয় নাম্বার পদ্ধতিকে উত্তম আখ্যা দিয়েছেন,
وَالثَّالِثُ: أَنْ يَقْبِضَ الْخِنْصَرَ وَالْبِنْصِرَ، وَيُرْسِلَ الْمُسَبِّحَةَ، وَيُحَلِّقَ الْإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى، كَمَا رَوَاهُ وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ اهـ، وَالْأَخِيرُ هُوَ الْمُخْتَارُ عِنْدَنَا،
তৃতীয় পদ্ধতি হল,খিনছার(কনিষ্ঠা)অঙ্গুলি এবংবিনছির(খিনছারের পাশের অঙ্গুলি)কে ভাজ করা হবে।এবং শাহাদত অঙ্গুলিকে ছেড়ে দেয়া হবে।এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা হালকা বানানো হবে।
মোল্লা আলী কারী রাহ আরো লিখেন,
وَعِنْدَنَا: يَرْفَعُهَا عِنْدَ لَا إِلَهَ، وَيَضَعُهَا عِنْدَ إِلَّا اللَّهُ لِمُنَاسَبَةِ الرَّفْعِ لِلنَّفْيِ، " وَمُلَاءَمَةِ " الْوَضْعِ لِلْإِثْبَاتِ، وَمُطَابَقَةً بَيْنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ حَقِيقَةً
হানাফি মাযহাব মতে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা হবে(এবং এটা সুন্নত)।এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলা হবে।যাতেকরে 'না'এর সময় 'হ্যা' হয়।অর্থাৎ যখন লা-ইলাহা (কোনো মা'বুদ নাই)বলা হবে,তখন শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করে বুঝানো হবে যে,অবশ্যই একজন আল্লাহ রয়েছে।এবং যখন ইল্লাহ তে আসা হবে,তখন আর উত্তোলনের প্রয়োজন নেই বিধায় অঙ্গুলিকে নামিয়ে ফেলা হবে।
অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখা হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সহজ ভাষায় শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলনের পদ্ধতি হল-
সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে।এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে।অতপর 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে।(কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো,কোনো মা'বুদ নাই।তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন,এবং তিনি হলেন,আমার আল্লাহ) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1262