জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের সময় হলেই নামাজ পড়া যাবে। সময় হওয়ার আগে নামাজ পড়লে তা শুদ্ধ হবে না। কেননা নামাযের অন্যতম একটি শর্ত হল, সময় হওয়া। আযান হোক বা না হোক।
তবে সাধারণত: সময় হওয়ার পরই আযান দেয়া হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
“নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” (সূরা নিসা: ১০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ أَتَيْتُ النَّبِيَّ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِي فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَحِيمًا رَفِيقًا فَلَمَّا رَأَى شَوْقَنَا إِلَى أَهَالِينَا قَالَ ارْجِعُوا فَكُونُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَصَلُّوا فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ.
মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার গোত্রের কয়েকজন লোকের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এলাম এবং আমরা তাঁর নিকট বিশ রাত অবস্থান করলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও বন্ধু বৎসল ছিলেন। তিনি যখন আমাদের মধ্যে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে যাওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা পরিজনের নিকট ফিরে যাও এবং তাদের মধ্যে বসবাস কর, আর তাদের দ্বীন শিক্ষা দিবে এবং সালাত আদায় করবে। যখন সালাত উপস্থিত হয়, তখন তোমাদের কেউ আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বয়সে বড় সে ইমামত করবে। (বুখারী ৬৩০, ৬৩১, ৬৫৮, ৬৮৫, ৮১৯, ২৮৪৮, ৬০০৮, ৭২৪৬; মুসলিম ৫/৫৩, হাঃ ৬৭৪, আহমাদ ১৫৫৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০০)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আযান যথেষ্ট নয়।
পুনরায় আযান দিতে হবে।
আর যদি কেহ সেই আযানের পরপরই ওয়াক্ত আসার আগেই (বাড়িতে হোক বা অন্য কোথাও) নামাজ পড়ে,তাহলে সেই নামাজ শুদ্ধ হবেনা।
পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
,
তবে আযান যদি পুনরায় দোহরানো না হয়,এমতাবস্থায় জামাতে সালাত শুরু করা হয়,তাহলে যেহেতু সেটি কিছুক্ষন পরেই (১০-১৫ মিনিট পরে) শুরু হয়,তাই ততক্ষনে ওয়াক্ত চলেই আসে,সুতরাং সেই সালাত আদায় হয়ে যাবে।
,
তবে জামাতের জন্য আজান দেওয়া যেহেতু সুন্নাতে মুআক্কাদাহ।
তাই ইচ্ছাপূর্বক ভাবে এমনটি হওয়ায় মাকরুহ হবে।
,
وَيُكْرَهُ أَدَاءُ الْمَكْتُوبَةِ بِالْجَمَاعَةِ فِي الْمَسْجِدِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَإِقَامَةٍ. كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الباب الثانى فى الاذان-1/54
সারমর্মঃ
মসজিদের ভিতর আযান ইকামত ছাড়া ফরজ নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
,
(০২)
ওয়াক্ত আসার সাথে সাথেই ফজর নামাজ আদায় করা যাবে।
,
হ্যাঁ এই তারিখে দেশের যেকোনো স্থানে উক্ত সময়ে ফজরের জামাত ছহীহ।
কোনো সমস্যা নেই।