ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তেলাওয়াতে সেজদা আদায় করা ওয়াজিব,যারা তেলাওয়াত করবেন বা শুনবেন সবাইকে আদায় করতে হবে নতুবা গুনাহ হবে।কখন আদায় করতে হবে?নামজের মধ্যে হলে ততক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব,
আদ্দুরুল মখতার ২খন্ড১১০পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻼَﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺳَﺠَﺪَﻫَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻻَ ﺧَﺎﺭِﺟَﻬَﺎ
তরজমাঃ- যদি নামাজে তেলাওয়াতে সেজদা পাঠ করা হয় তাহলে নামাজেই সেজদা করতে হবে,বাহিরে করলে হবে না।নামাজে আদায় করার পদ্ধতি হচ্ছে, যদি সূরার শেষাংশে সেজদায়ে তেলাওয়াত হয়,তাহলে নামাজের মধ্যেই উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত পড়ার পূর্বে আদায় করতে হবে এবং করাই ওয়াজিব।কিন্তু মধ্যাংশে হলে উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত থেকে একটু বেশীও পড়া যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫৬)
নামজের বাইরে তেলাওয়াতে সেজদা পড়লে তৎক্ষণাৎ আদায় করা ওয়াজিব নয় বরং যে কোনো সময় আদায় করা যাবে তবে তারাতারি আদায় করে নেওয়া উত্তম,এবং বেশী দেরী করা যাবে না,কেননা ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে গোনাহ হবে।এ প্রসঙ্গে ফাতওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত আছে.............
مافي الدرالمختار) ﻭَﻫِﻲَ ﻋَﻠَﻰ اﻟﺘَّﺮَاﺧِﻲ) ﻋَﻠَﻰ اﻟْﻤُﺨْﺘَﺎﺭِ ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺗَﺄْﺧِﻴﺮُﻫَﺎ ﺗَﻨْﺰِﻳﻬًﺎ،
و في رد المحتار تحت قوله "على المختار " اﻹِْﺟْﻤَﺎﻉَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﺗَﺮَاﺧَﻰ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺩَاءً ﻣَﻊَ ﺃَﻥَّ اﻟْﻤُﺮَﺟَّﺢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ اﻟْﻔَﻮْﺭِ ﻭَﻳَﺄْﺛَﻢُ ﺑِﺘَﺄْﺧِﻴﺮِﻩِ
তরজমাঃ- দেরীতে তেলাওয়াতে সেজদা আদায় করলে আদায়-ই হবে,(ক্বাযা হবে না) যদিও ততক্ষনাৎ আদায় করা উত্তম,এবং বেশী দেরী করা মাকরুহে তানযিহি ও গোনাহ।২/১০৯
কুরআনের আয়াতের অর্থ পড়লে তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে না। (কিতাবুল ফাতওয়া-২/৪৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনের আয়াতের অর্থ পড়লে তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে না।