আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

((আল্লাহর ওয়াস্তে পড়ুন,  দুইজন এর ঈমান নিয়ে পেরেশানিতে আছি, ৩ ঘটনা নির্ভর ব্যাখ্যা অনেক লম্বা))

*আমার ১ম ঘটনা*: আজ বাড়ির রাস্তা দিয়ে হাটার সময় আমি ইসলামের লিখাওয়ালা কাগজ পাইলাম। আমার মনে হলো তা তুলে নেয়ার জন্য। কিন্তু আফসোস ঈমানি দুর্বলতার কারনে আমি তা না উঠিয়ে ঘরে  চলে যাই। ঠিক ১.৩০ ঘন্টা দেড় ঘন্টা পরে, আবার ওইখানে গিয়ে তা তুলে নিলাম এবং,, যেখানে মানুষ আসা-যাওয়া নাই মানে বদ্দ্ব বাগানের মতো সেখানে ফেলে দিলাম।
 (এখানে ফেললে বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক সেই কাগজ কে মুছে দিবেন তাই বাশ-ঝাড় এর বাগানে ফেলে দিয়েছি)

*আমার ২য়ঘটনা*: আবার হাত-পাখায় আমার বোন "ইয়াসিন" লিখে বহু দিন আগে। "ইয়াসিন" যেহেতু আমাদের নবী (সা:) এর নাম, তো সেই হাত পাখা আমার অজান্তে পায়ে লেগে যায়। তার পরপর-ই আমি বুকে টেনে নেই সম্মানে। আমার এই ঘটনা দেখে আশ পাশ এ ঘরের লোক ছিলো,,আমি হাত-পাখা বুকে টেনে নেয়ার কারনে এই ঘটনা দেখা আমার ফ্যামিলি হাসেন।  ((আসলে মূল বিষয়টা তো উনাদের অজানা কারন সেই পাখায় আমাদের প্রিয় নবীজি (সা:) এর নাম লিখা রয়েছে, কিন্ত "ইয়াসীন" শারীফ নাম লিখা তা আমার জানা আছে।))
কিন্তু তাদের হাসার সাথে সাথে আমিও হেসে ফেলি। আমার হাত পাখার মধ্যে "ইয়াসিন" নাম লিখা এবং তা হাত-পাখা সালাম বা বুকে টেনে নেয়ার কারনে ফ্যামিলির হাসার সাথে আমিও হাসি। এই হাসার দ্বারা আমার ঈমানের সমস্যা হবে কি?


*আমার আম্মার ঘটনা ৩য়*:)) মামুনুল হক এর বিষয়ে আম্মা ফেসবুকে আজ জানলেন বলতে গ্রেফতার হয়েছেন তা জানলেন কিন্তু মামুনুল হক্ব কে কোন বা কি কারনে গ্রেফতার করা হয়েছে তা আমার আম্মার অজানা ইনশাআল্লাহ্‌ ।
তো উনি (আম্মা) আমাকে উঠে বললেন, ""হাসিনা যা ভালোই করে।""
আমি হতকে গেলাম শুনার পরেই। পরে আমি বললাম,  রাস্তা বই ইত্যাদি দেয় তা ভালো।  যা ভালো করেছে তা ভালো। কিন্তু যেখানে খারাপ সেটা খারাপ তা তো বলতে হবে। মামুনুল হাক্ব একজন আলিম। উনি ইসলামের পক্ষে কথা বলেন। মোদী বিরুদ্দ্ব কথা বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি""
আম্মাকে বললাম, " আপনি তো না জেনেই না বুজে বলেছেন "হাসিনা যা করে ভালোই করেছে। "। 

দেখেন এই কথাগুলোও আমি ভালোর জন্য-ই বলেছি। উনি (আম্মা) আবার উত্তর দেন,  "আমার এত বুঝার দরকার নাই"


[[[[আসলে আমার আম্মা (বলতে কষ্ট হলেও বলতে হচ্ছে) উনি শরীয়ত এর জ্ঞান তেমন নেই। দুনিয়াবি জ্ঞান এই সেইম। বয়স ৪০ এর মত। আপনি যদি ভালো কিছু বুঝাতে যান,,উনি এক ঘেয়েমিতা করেন মানে প্রবাদ আছে না,, নিজে যা বুজে ওইটাই ঠিক।  এরকম টাইপের আমার মা]]]]
আমার ধারনা, আমার আম্মা মামুনুল হক এর প্রসংগের উত্তর টা না বুজে বিষয় না জেনে বলেছেন।
 আমার আম্মার মনের অবস্থা তো একমাত্র আল্লাহ-ই ভালো জানেন, আমরা তো আর না। 
তাই মামুনুল হক এর ব্যাপারে এমন মন্তবএর দ্বারা আমার আম্মার ঈমান এর কোনো সমস্যা হবে কি? 

(আরেকটি বিষয়, দেশে যে মূর্তির বিরুদ্দ্ব, কাফের মোদির বিরুদ্দ্বে, ইত্যাদি ইত্যাদির জন্য মামুনুল হক প্রতিবাদ করেছেন, এই সম্পর্কে হয়ত আম্মার জানা নাই)

প্রশ্ন---
*ঘটনা :)* এর জন্য ১ম বার মানে দেড় ঘন্টা আগে আমি ইসলামিক কাগজ  ঈমানি দুর্বলতার কারনে তুলি নাাই,(যেখানে মানুষের চলা ফেরা আছে)।  তো  প্রথম বারের ঈমানি দুর্বলতার কারনে না তুলার জন্য যেহেতু ইসলামিক কাগজ, তাহলে ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা আছে কি?

*ঘটনা :)* এর জন্য---হাত পাখার মধ্যে "ইয়াসিন" নাম লিখা, তা পায়ে লাগার কারনে সাথে সাথে বুকে টেনে নেই। ফ্যামিলি হাসে, সাথে আমিও হেসে ফেলি। আমার এই হাসার দ্বারা আমার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা আছে কি? (যদিওও আমি জানি যে আমার হাত পাখায় "ইয়াসীন" নাম লিখা আছে" কিন্তু আমিও হেসে ফেলি)

*ঘটনা ))*  এর জন্য---আমার আম্মার ঘটনা সম্পর্কে আম্মার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে কি? (বি:দ্র: আমার বাবা প্রবাসে থাকেন)

1 Answer

0 votes
by (571,050 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»

তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)

(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) ঐ কাগজ আপনার প্রথমবার কুড়িয়ে তুলাই উচিৎ ছিলো। যাই হোক এজন্য কোনো গোনাহ হবে না। 

(২) যেহেতু তারা না জেনে হাসাহাসি করেছে এবং আপনি অপারগতা বশত হেসেছেন করছেন, তাই এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৩) আপনার আম্মুর শরীয়ত সম্পর্কে তেমন ধারণা নাই, তাই উনার এমন মন্তব্যর কারণে উনার গোনাহ হব না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (571,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...