আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
546 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) খাওয়ার পরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে ও পরে নামাযের মধ্যে মনে আসলো ও আলহামদুলিল্লাহ বললাম। এতে কি নামায ভেঙ্গে যাবে?

খ) বিতরের নামায ইমাম দুয়া কুনুত এর জন্য তাকবীর দিলো আর আমি ভুলে রুকুতে গেলাম, তখন আমার কি রুকুতেই দুয়া কুনুত পড়া উচিত? (এইক্ষেত্রে এইটা করলে পরে ইমাম রুকুর তাকবীর দিলে আমার করনীয় কি?)
নাকি উঠে দাঁড়িয়ে যাবো আবার আর পরে ইমামের সাথে রুকুতে যাবো?
closed

1 Answer

+1 vote
by (643,650 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি নামাজের মধ্যে হাঁচির কারনে আলহামদুলিল্লাহ বলে,তাহলে তার নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৭৫)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের মধ্যে কেহ আলহামদুলিল্লাহ বললে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।     
     
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلَاةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاتَهُ قَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا " . وَزَادَ حُمَيْدٌ فِيهِ " وَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْشِ نَحْوَ مَا كَانَ يَمْشِي فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَهُ وَلْيَقْضِ مَا سَبَقَهُ " . - صحيح 

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে ক্লান্ত অবস্থায় মাসজিদে (সলাতে) উপস্থিত হয়ে বলল, ‘‘আল্লাহু আকবার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত শেষে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কে এই দু‘আটি পড়েছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন লোকটি বলল, আমি হে আল্লাহর রসূল! আমি ক্লান্ত অবস্থায় মাসজিদে এসে এই দু‘আটি পড়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি দেখতে পেলাম, বারজন মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) এজন্য প্রতিযোগিতায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, কে সর্বাগ্রে দু‘আটি আল্লাহর দরবারে নিয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী হুমায়িদের বর্ণনায় আরো রয়েছে, তোমাদের কেউ (মাসজিদে) এলে যেন স্বাভাবিক গতিতে আসে। অতঃপর ইমামের সাথে যেটুকু সলাত পাবে আদায় করবে এবং সলাতের ছুটে যাওয়া অংশ (ইমামের সালাম ফিরানোর পর) একাকী আদায় করে নিবে।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ তাকবীরে তাহরীমা ও ক্বিরাআতের মাঝে পাঠ করার দু‘আ), নাসায়ী (৯০০) আবু দাউদ ৭৬৩)
,
(০২)
আপনি রুকুতে না থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যাবেন।
দাড়িয়েই দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করবেন।
পরে আবার ইমামের সাথে রুকুতে যাবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 217 views
0 votes
1 answer 469 views
...