ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যদি কেউ পুরা সুরায়ে বাকারা তিলওয়াত না করে শুধু শেষের কয়েকটা আয়াত তিলওয়াত করে, তাহলে তার জন্যও আমীন বলা সুন্নত। কেননা সুরায়ে বাকারার ঐ শেষ আয়াত সমূহে দুআর অর্থ বিদ্যমান রয়েছে। আর দুআর শেষে আমীন বলা সুন্নত।
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।(সূরা বাকারার শেষ আয়াত)
(২)
জরুরী নয় তবে ঘুমানোর কিছু পূর্বে পড়া উত্তম। সুতরাং কেউ যদি না পড়ে, তাহলেও তার পড়ার সওয়াব অর্জিত হয়ে যাবে।
(৩)
তাজরিন অর্থ প্রবাহিত। এই নামা রাখা যেতে পারে। তবে এই নামের পরিবর্তে কোনো মহিলা সাহবিয়ার নাম রাখাই উত্তম।
(৪)
সুরা বাকারাহ'র শেষ দুই আয়াত তিলওয়াত করার আগেও আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম পড়ে কেরাত পড়া শুরু করতে হয়, সাথে বিসমিল্লাহ পড়া উত্তম। সূরার মাঝখান থেকে তেলাওয়াতের সময় বিসমিল্লাহর পর ওয়াকফ করতে হয়।