আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (61 points)
১. সফরের ক্ষেত্রে যদি অবস্থানস্থল এবং গন্তব্যস্থল উভই নিজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা হয় সেক্ষেত্রে ৪৮ মাইলের অধিক দুরত্বের ক্ষেত্রে যাত্রাপথ টুকু তো মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে? অর্থাৎ রওনা দেয়ার পর থেকে পৌছানোর আগ পর্যন্ত।

২. সফরের ক্ষেত্রে যদি দুই ওয়াক্তের নামাজ জমা করে রওনা করি (যেমন যোহর+আছর) কিন্তু আছরের ওয়াক্ত থাকাকালীন সময়েই মুকিম হয়ে যাই সেক্ষেত্রে কি ওই নামাজ টুকু আবার আদায় করতে হবে?

৩. গোসল ফরজ হওয়ার পর যদি এমন হয় যে পানির অভাব কিংবা অন্য কোন ওজরে তায়াম্মুম করা হলো এবং পরবর্তীতে যদি পানি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কি তার উপর পুনরায়  গোসল  করা আবশ্যক হবে নাকি তায়ামুম্মই যথেষ্ট??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8508 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429

মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়,তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে।এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা যাবে না।বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ।সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭)তবে পড়ে নেয়াটা-ই উত্তম।কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন।(তিরমিযি-১/৭২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সফরের ক্ষেত্রে যদি অবস্থানস্থল এবং গন্তব্যস্থল উভই নিজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা হয় সেক্ষেত্রে ৪৮ মাইলের অধিক দুরত্বের হয়? আপনার এ প্রশ্নটি আমরা বুঝিনি? একটু পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। সম্ভব হলে একটা উদাহরণ দিয়ে বলবেন। 
(২)দ্বিতীয় প্রশ্নটিও পুরোপুরি অস্পষ্ট। একটু পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। সম্ভব হলে একটা উদাহরণ দিয়ে বলবেন। 
(৩)গোসল ফরজ হওয়ার পর যদি এমন হয় যে পানির অভাব কিংবা অন্য কোন ওজরে তায়াম্মুম করা হলো এবং পরবর্তীতে যদি পানি পাওয়া যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তার উপর পুনরায় গোসল করা অবশ্যিই জরুরী  হবে ।তবে উক্ত তায়াম্মুম দ্বারা যত ইবাদত করা হবে, সেগুলোকে পূনরাবৃত্তি করা লাগবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১. আমার বাসা ঢাকা আর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।  আমি মুসাফিরের ফাতওয়ার ক্ষেত্রে দেখেছিলাম যে গন্তব্যস্থান যদি নিজের বাসা হয় সেক্ষেত্রে সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেনা। তাই পথের অংশটুকু মুসাফির হিসেবে গণ্য হব কিনা জানতে চাওয়া।

২. মুসাফিরের ক্ষেত্রে যোহর+আছর এবং মাগরিব+ইশা এভাবে এক ওয়াক্তে দুই ওয়াক্তের নামাজ পড়ে রওনা করার অথবা গন্তব্যস্থলে পৌছে আদায় করার একটি নিয়ম রয়েছে বলে জেনেছিলাম। তাই জানতে চাওয়া যে- আমি যেমন যোহরের ওয়াক্তে আছর সহ আদায় করে রওনা করেছি এখন যদি আছরের ওয়াক্ত থাকাকালীন সময়েই মুসাফির থেকে মুকিম হয়ে যাই সেই নামাজটি আবার আদায় করতে হবে কিনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 212 views
...