জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উল্লেখিত সময়ে মহান আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে, তাঁর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। তিনি অসীম দয়ালু।
মূলত এই নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহরই।
তিনি বলেন,
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম-সিজদাহ ৩৬)
হারাম কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে সাথে সাথে কোনো উপকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে হবে।
তালিমের পরিবেশ, আমলের পরিবেশ, তেলাওয়াতের পরিবেশ, জিকির-মুরাকাবা, দোয়ার পরিবেশে বেশি বেশি সময় দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ
দুটো নিয়ামত এমন যে দুটোর বিষয়ে বহু লোক ধোঁকায় নিপতিত- স্বাস্থ্য এবং অবসর। (তিরমিযী ২৩০৭)
(০২)
হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত
(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে।
যদি কেহ মসজিদে নামাযের জায়গায় বসে যিকির ইত্যাদিতে লিপ্ত হন এবং সেখানে ইশরাকের নামাজ আদায় করেন তবে তার ফজিলত ঘরে ইশরাক আদায় করার চেয়ে বেশি হবে।
,
তাই কবুল হজের ছওয়াবের জন্য হাদীসের হুবহু অর্থের উপর আমল করাই উচিত।
আরো জানুনঃ
,
(০৩)
না গুনাহ হবেনা।
তবে প্রহার করা যাবেনা।
আরো জানুনঃ
,
(০৪)
যদি সদকাহ মূলক নেকীর কাজ করা হয়,তাহলে সদকাহ এর ছওয়াব পাওয়া যাবে।
,
(০৫)
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৬)
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, “এক মুবারক কিতাব, এটা আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহে তাদাব্বুর করে (গভীরভাবে চিন্তা করে) এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।”[সূরা সোয়াদ, আয়াত: ২৯]
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ) বলেছেনঃ
মুমিন ব্যক্তি কুরআন তাদাব্বুর করবে। অর্থাৎ গুরুত্ব দিয়ে কুরআন পড়বে এবং কুরআনের অর্থ নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। অর্থ বুঝার চেষ্টা করবে। এভাবে কুরআন থেকে উপকৃত হবে। যদি পরিপূর্ণ অর্থ তার বুঝে নাও আসে; কিন্তু অনেকটুকু সে বুঝতে পারবে। কিন্তু সে বুঝে বুঝে পড়বে। অনুরূপভাবে মুমিন নারীও এটা করবে; যাতে করে সে আল্লাহ্র কালাম থেকে উপকৃত হতে পারে। এবং যাতে করে আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্য বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে। আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “তবে কি তারা কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করে না (গভীর চিন্তা করে না)? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা রয়েছে?”[সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ২৪]
সুতরাং জানা গেল, আমাদের রব্ব আমাদেরকে তাঁর বাণী বুঝে বুঝে, চিন্তাভাবনা করে পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাই মুমিন নর-নারীর জন্য আল্লাহ্র কিতাব চিন্তাভাবনাসহ, বুঝে বুঝে, গুরুত্বসহকারে পড়া শরিয়তে গ্রাহ্য। যাতে করে সে আল্লাহ্র কালাম থেকে উপকৃত হতে পারে, কথাগুলো বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি তাফসির গ্রন্থগুলোর সহযোগিতা নিবে; যে গ্রন্থগুলো আলেমগণ রচনা করেছেন। যেমন- তাফসিরে ইবনে কাছির, তাফসিরে ইবনে জারির, তাফসিরে বাগাভী, তাফসিরে শাওকানি ইত্যাদি। এছাড়া আরবী ভাষার উপর লিখিত গ্রন্থগুলোরও সহায়তা নিবে।
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
,
(০৭)
মুরাকাবা শব্দটি বাবে মুফায়ালাতুন হতে নির্গত যার অর্থ চিন্তা করা,গবেষণা করা,সুদর্শন,গভীর মনোনিবেশ ইত্যাদি।
মসজিদে অথবা আপন ঘরের নির্জন কোন জায়গায় দোজানু হয়ে বসে দুই চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সহিত ক্বলবে আল্লাহ কে স্মরণ করা, জিকির করা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।
{সূরা রাদঃ ২৮}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উল্লেখিত বিষয় নিয়ে কোনো হক্কানী শায়েখের পরামর্শ নিয়ে আমল করুন।