ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ حِينَ يَذْكُرُنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ شِبْرًا اقْتَرَبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً " .
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আচরণ করি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সাথেই থাকি। সে যদি মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যদি কোন মজলিসে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমি তাদের চেয়ে উত্তম মজলিসে তার আলোচনা করি। সে যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় তবে আমি তার দিকে দৌঁড়ে অগ্রসর হই।( সুনানে ইবনে মাজা-৩৮২২)
(২)রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিবরাইল আঃ মুখে মুখে পড়াতেন। রাসুলুল্লাহ সাঃ লেখাপড়া জানতেন না। লেখাপড়া কেন জানতেন না। এর হেকমত সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা নিজেই বলেন,
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ ۖ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত। (সূরা আনকাবুত-৪৮)
অর্থাৎ মিথ্যাবাদীরা এ সন্দেহ পোষণ করত যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পড়ে নিজের পক্ষ্য থেকে এ কুরআন নিয়ে এসেছেন। এটা আল্লাহর তরফ থেকে নাযিল হয়নি।
(৩) কেউ যদি কোরআনের পরিপন্থী কিছু করে আর সেটাকে বিশ্বাস করে নেয়, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে।
(৪) আমলনামা হল, কর্মের ফলাফল। যা বিচারের পর সবার হাতে হাতে দেয়া হবে। কে দুনিয়াতে কি করেছিলো? তার পূর্ণ বিবরণ তাতে লিপিবদ্ধ থাকবে।
(৫) একজন নাস্তিক জিজ্ঞেস করলেন যে আল্লাহ যেহেতু সবকিসু করতে পারেন তাহলে তিনি কি আরেকটি আল্লাহ তৈরি করতে পারবেন , সেই প্রশ্নের জবাব আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন,
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। ( সূরা আম্বিয়া-২২)
আল্লাহর সামর্থ্য আছে, তবে আল্লাহ ঐ হেকমতে আর তৈরী করবেন না।