বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
নয়দিন পর যদি দেখেন যে কোনো প্রকার স্রাব আসছে না,তাহলে আপনি পবিত্র।কিন্তু যদি কালার বদলে যায়,তাহলে আপনার হায়েয এখনো অবশিষ্ট আছে বলে ধরে নিতে হবে।
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮
কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দশ দিনের ভিতর হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে রোযা রাখবেন। আবার চালু হলে রোযা রাখবেন না। আর দশদিন অতিক্রম হয়ে গেলে রোযা রাখবেন। তখন এটা ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য হবে।