আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

আমার সমস্যা হলো  ৪দিন পরে ৫ম দিন সাদা অংশ দেখা দেওয়ায় রোজা রাখি ও সলাত আদায় করি অথচ ৫ম ও ৬ষ্ঠ দিন ভালো থাকার পরে ৭ম দিনে ফজরের ওয়াক্তে রক্ত দেখা যায়   ইস্তিহাজা  ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে  ফজরের সলাত আদায় করি এর পরে আর সারাদিন রক্ত দেখা যায় না ইফতারের পরে দেখা যায় । ৮ম দিনেও একই অবস্থা অব্যাহত আছে । তাহলে আমার রোজা গুলো কি কবুল হচ্ছে ? কবুল না হলে কয়টা রোজা কাজা আদায় করবো??আমি কি সলাত আদায় করবো???

এর পূর্বে কোনো রোজাতেই এমন হয় নাই । গত বছর আমার ৫টি রোজা কাজা ছিলো । এই সমস্যা আমার গত  ৩-৪ মাস থেকে এমন  হচ্ছে । হয়েজের প্রথম  ৩-৪ দিন পরে ২দিন ভালো থেকে আবার রক্ত দেখা যায় কখনো কখনো ৭ম দিন কখনো কখনো ৮ম দিন ও কখনো কখনো ১০ম দিন পর্যন্ত থাকে।

এর পূর্বে আমার ৩-৫দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যেত ।
জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
নয়দিন পর যদি দেখেন যে কোনো প্রকার স্রাব আসছে না,তাহলে আপনি পবিত্র।কিন্তু যদি কালার বদলে যায়,তাহলে আপনার হায়েয এখনো অবশিষ্ট আছে বলে ধরে নিতে হবে।

হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দশ দিনের ভিতর হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে রোযা রাখবেন। আবার চালু হলে রোযা রাখবেন না। আর দশদিন অতিক্রম হয়ে গেলে রোযা রাখবেন। তখন এটা ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,255 views
...