আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফাল আল মুযান্নী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হতে বর্ননা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরীবের (ফরযের) পুর্বে (নফল) সলাত আদায় করো, তোমরা মাগরীবের (ফরযের) পুর্বে (নফল) সলাত আদায় করো। লোকেরা এ ‘আমলকে সুন্নাত হিসেবে গ্রহন করতে পারে, এ কারনে তৃতীয়বারে তিনি বললেনঃ এ হুকুম তার জন্য যে ইচ্ছা করে। যেন তিনি নিয়মিত আদায় করা অপছন্দ করলেন। ইবনু হিব্বানের একটি বর্ননায় আছে, নাবী (সাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরীবের পুর্বে দু রাক’আত সলাত আদায় করেছিলেন। [৪০১]
ফুটনোটঃ
[৪০১] বুখারী ১১৮৩, ৭৩৫৮, আবু দাউদ ১২৮১, আহমাদ ২০০২৯, পুর্নাঙ্গ হাদিসটি হচ্ছেঃ অতঃপর তিনি বলেন, মাগরিব নামাযের পুর্বে তোমরা দু’ রাক’আত সলাত আদায় কর। তিনি এ কথাটি দুবার বললেন। [আরবী] অতঃপর তৃতীয়বারে বললেন, যার ইচ্ছা (অর্থাৎ যে পড়তে চায় সে পড়তে পারে) তিনি এ কথাটি এ আশংকায় বললেন যে, লোকেরা তা সুন্নাত মনে করা শুরু করবে।
বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৩৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
এখন কথা হলো আমি সাধারণত মাগরীবের ফরজের আগে দুই রাকাত সুন্নাত পড়ি,এখন এই সুন্নাত কি বাধ্যতামূলক নাকি নফল?উপরের হাদীসে বলা হয়েছে যে মাগরীবের ফজরের আগে নফল পড়তে,তাহলে মাগরীবের ফজরের পর কি দুই রাকাত সুন্নাত আছে কি? আর মাগরীবের নামায কত রাকাত ৩ নাকি নফল সহ মিলে ৫ নাকি নফল +ফরজ+সুন্নাত সহ ২+৩+২?
কোনটি হবে?
আর রামাদানে তারাবীহের নামায পড়া কি বাধ্যতামূলক নাকি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্?
তারাবীহের নামায না পড়লে কি গুণাহ হবে?