শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় শরীরে মলম, মাথায় তৈল দেওয়া যাবে। এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ قَتَادَةَ: «يُسْتَحَبُّ لِلصَّائِمِ أَنْ يَدَّهِنَ حَتَّى تَذْهَبَ عَنْهُ غُبْرَةُ الصَّائِمِ»
হযরত কাতাদাহ রা. বলেন,‘রোযাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩, হাদীস নং-৭৯১২]
وَمَا يَدْخُلُ مِنْ مَسَامِّ الْبَدَنِ مِنْ الدُّهْنِ لَا يُفْطِرُ هَكَذَا فِي شَرْحِ الْمَجْمَعِ.(الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، النوع الاول مايوجب القضاء دون الكفارة-1/203
সারমর্মঃ
শরীরের ছিদ্র,লোমকূপের ভিতরে যাহা কিছু প্রবেশ করবে,তৈল জাতীয়,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
বাহ্যিক শরীরের চামড়ায় পাউডার বা মলম ব্যবহার করা রোযাদারদের জন্য বৈধ। কারন, তা পেটে পৌছায় না। তদনুরূপ প্রয়োজনে ত্বককে নরম রাখার জন্য কোন তেল, ভ্যাসলিন বা ক্রিম ব্যবহার করাও রোযা অবস্থায় বৈধ। কারণ, ঐ সব কিছু কেবল চামড়ার বাহিরের অংশ নরম করে থাকে এবং শরীরের ভিতরে প্রবেশ করেনা। পরন্ত যদিও লোমকূপে তা প্রবেশ হওয়ার কথা ধরেই নেওয়া যায়, তবুও তাতে রোযা নষ্ট হবে না। ২৮৭ (ইবনে জিবরীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭)
তদানুরুপ রোযা অবস্থায় মহিলাদের জন্য হাতে মেহেদী, পায়ে আলতা অথবা চুলে (কালো ছাড়া অন্য রঙের) কলফ ব্যবহার বৈধ। এ সবে রোযা বা রোযাদারের উপর কোন (মন্দ) প্রভাব ফেলে না। ২৮৮ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭)