বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মাহে রমজানে শুরু থেকেই রোযার নিয়ত না করা এবং রোযা না রাখা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।গোনাহের কাজ।এর জন্য অবশ্যই আল্লাহর নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে।এবং একটার পরিবর্তে একটা রোযাকে কা'যা করতে হবে।এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না।তবে যদি কেউ রোযার নিয়ত করার পর রোযাকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে এক্ষেত্রে কা'যা র সাথে সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৪১০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সঠিক সময়ে সেহরি খাননি,সেজন্য আপনার রোযা হয়নি।তবে এজন্য আপনাকে কাফফারা দিতে হবে না,বরং শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই চলবে।
(২)
মা'য়ে মুস্তা'মাল তথা ব্যবহৃত পানি দ্বারা ওজু করা জায়েয হবে না।কেননা গ্রহণযোগ্য এবং পছন্দনীয় মতানুসারে মা'য়ে মুস্তা'মাল নিজে পবিত্র তবে অন্য কাউকে পবিত্র করতে পারে না।
কিন্তু যদি কোথাও মা'য়ে মুস্তা'মাল এবং গায়রে মুস্তা'মাল মিলিত থাকে এবং গায়রে মুস্তা'মাল এর পরিমাণ বেশী থাকে তবে উক্ত পানি দ্বারা ওজু-গোসল জায়েয হবে।
কখন পানি মা'য়ে মুস্তা'মাল বা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যাবে যে,যখন পানি শরীরের অঙ্গের সাথে মিলিত হয়ে আবার তা টপকে টপকে পড়ে যাবে তখনই সেটা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হবে।
সুতরাং যখন কোনো পাত্রে এক আঙ্গুল বা কয়েক আঙ্গুল ডুবে যাবে তখন এর দ্বারা সারা পাত্র ব্যবহৃত হবে না।বরং ঐ পানি-ই ব্যবহৃত হিসেবে গণ্য হবে যা আঙ্গুলের সাথে লেগে তারপর টপকে পড়ে গিয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট সব পানি অব্যবহৃত হিসেবে-ই রয়ে যাবে।
এখানে যেহেতু আঙ্গুল সমূহের সাথে লেগে তারপর টপকে টপকে পড়ে যাওয়া পানি পাত্রের অবশিষ্ট পানির তুলনায় নিতান্তই কম। তাই পাত্রের পানি পবিত্রই রয়ে যাবে।উক্ত পানি দ্বারা ওজু গোসল করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/১২২
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৪০